ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়র মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা
স্টাফ রিপোর্টার:

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরকীয়া, নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী সোনিয়া। গত ১৭ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলার এজাহারে মেয়রের স্ত্রী সোনিয়া উল্লেখ করেন, ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ২০১০ সালে মো. মাহফুজুল হকের সাথের তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর মেয়ের সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করে সোনিয়ার বাবা তাকে স্বর্ণালংকার ও ঘরের সকল আসবাবপত্র দেয়। পরবর্তীতে ব্যবসার কথা বলে মাহফুজুল হক শ্বশুরের কাছে ৫ লাখ এবং তার ভায়রার কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা ধার নেয়। তবে বিপত্তি ঘটে বিয়ের পরই। তার স্ত্রী সোনিয়া দেখেন তার স্বামী মাহফুজুল হক একজন মাদকসেবী ও পরকীয়ায় আসক্ত। সে নারীদের সাথে অবাধ পরকীয়ায় লিপ্ত। প্রায়ই মাদকসেবন করে তার স্ত্রীকে মারধর করেন।
আদালতে মামলার বিষয়ে তিনি আরো জানান, শুধুমাত্র সন্তানদের মায়ায় এত নির্যাতন সহ্য করেও সংসার করে আসছি। কিন্তু আরো ৫ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য নানাভাবে তাকে শারীরীক নির্যাতন করে মাহফুজ। মুখবন্ধ করে সব কিছু সহ্য করে আসলেও আলো নামে এক নারীর সাথে মাহফুজুল হক পরকীয়া ও অবাধ মেলামেশা করে প্রতিবাদ করলে স্ত্রী সোনিয়ার উপর নেমে আসে নির্যাতন। বর্তমানে স্ত্রী সোনিয়া প্রায় আড়াই মাসের গর্ভবতী। এমন অবস্থায়ও মেয়র মাহফুজের নির্যাতন থেমে থাকেনি। তাকে ৫ লাখ টাকা না দিলে স্ত্রীকে ঘরে থাকতে দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় সামাজিকভাবে সালিস করে ঘটনার মীমাংসা করতে চাইলেও মেয়র তা মানতে রাজি হয়নি। মেয়রের নির্যাতনে এক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় স্ত্রী সোনিয়া এবং তাকে হুমকি দিতে থাকে। উপায় না দেখে স্ত্রী সোনিয়া ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তাকে চাঁদপুরে আদালতে মামলা দেয়ার জন্য বলা হয়। তিনি গত ১৭ নভেম্বর সর্বশেষ চাঁদপুর আদালতে মামলা দেন এবং সুবিচার দাবি করেন।
মামলার বিষয়ে মেয়র মাহফুজুল হক জানান, আসন্ন ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচনের অন্তিম মুহূর্তে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের একটা মামলা সম্পূর্ণ প্ররোচিত। আমার পারিবারিক মামলায় কাউন্সিলদের অনাস্থা জ্ঞাপন এটাই প্রমান করে এখানে একটি চক্র আমাকে হেয় করার জন্য চক্রান্ত করছে। তিনি আরো জানান, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আমি তাকে শারিরীক নির্যাতন করেছি। কিন্তু গত ৯ মাস সে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে তাহলে কিভাবে আমি তাকে শারিরীক নির্যাতন করতে পারি।
তিনি আরো উল্লেখ করে বলেন, আমার স্ত্রীর চরিত্রগত সমস্যা আছে। আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগেও তার বিয়ে হয়েছিলো যা তার পরিবার আমার কাছে গোপন রেখেছিলো এবং সেই ঘরে দশম শ্রেনী পড়ুয়া একটি সন্তান আছে। তারপরও আমি তার সাথে সংসার করেছি।
Recent Posts