চাঁদপুরে খাল দখলের হিড়িক!
বিশেষ প্রতিনিধি
চাঁদপুরে খাল দখলের হিড়িক পড়েছে। যে যেভাবে পারছে এ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখছে। সরকারি বিভিন্ন বিভাগের খাল অবৈধ দখল ও ভরাট করে স্থায়ী অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে সংকীর্ণ ও বিলুপ্ত হয়ে গেছে জেলার অধিকাংশ খাল। সড়ক ও জনপদ বিভাগ, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজেসে সহজেই দখল এসব খাল। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে অবৈধ দখল উচ্ছেদ প্রক্রিয়া একটি নিয়মিত কাজ।
সরেজমিনে চাঁদপুরের কচুয়া, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ চাঁদপুর সদরের কয়েকটি এলাকা ঘুওে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী সিএন্ডবি খাল, এসবি খাল, বোয়ালজুড়ি খাল, চান্দ্রা-দেইচর খালসহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ছোট বড় অনেক খাল দখল হয়ে গেছে। খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠছে দোকানপাট, মার্কেট, মসজিদ, দলীয় অফিসসহ বসতঘর। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা বাজার এলাকায় খাল ভরাটের দৃশ্য একে বারেই দৃষ্টিকটু।
আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে খালের উপরে ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। অথচ এ একশ গজ পরেই রয়েছে সরকারি ব্রিজ কিংবা কালভার্ট। এছাড়া বিভিন্ন খালের ওপর অপরিকল্পিত ভাবে নির্মান হচ্ছে ব্রিজ কালভার্ট। যে কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে চাঁদপুরের প্রধান প্রধান ও ছোট বড় সব খাল। এর বেশির ভাগ প্রভাব পড়ে অবশ্য বর্ষা কালে। এমনকি বর্ষার শুরুতেই দেখা দেয় কৃত্রিম বন্যা। খাল দখল প্রক্রিয়া অব্যহত থাকলে একসময় বিভিন্ন সেচ প্রকল্পেও মারাত্মক প্রভাব প্রড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের খাজুরিয় এলাকার দুই দখলদার, মোখলেছুর রহমান ও আবুল খায়ের বলেন, আমরা খালে নয় ব্যক্তিমালিকানা ভবন তুলছি।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, অবৈধ ভাবে দখলকৃত সরকারি ভূমি বা খাল উদ্ধারে প্রশাসন সবসম্য় প্রস্তত। আর এসব অবৈধ দখলের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া একটি নিয়মিত কাজ। যা সবসময়-ই করা হচ্ছে। তবে মামলা জটিলতার কারণে তা সবসময় করা সম্ভব হয় না।
চাঁদপুরের সচেতন মহলের মতে, এমন অবৈধ দখলের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খালও। যা ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদনে হুমকি স্বরুপ। আর তাই যত দ্রুত সম্ভব এসব খাল দখলমুক্ত ও খনন করে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার দাবি চাঁদপুরবাসীর।