চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরী সার্ভিস: যানবাহন শূণ্য ঘাট
চাঁদপুর প্রতিনিধি: টানা অবরোধ আর হরতালে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ফেরী চলাচলে মারাতœক প্রভাব পড়েছে। প্রতিদিনই এ ফেরিঘাট দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। অথচ হরতাল-অবরোধে চাঁদপুরের হরিনা ও শরিয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে যানবাহনের সংখ্যা নি¤েœর কোঠায় চলে এসেছে। ফলে ফেরিঘাটে যানবাহনের পরিবর্তে এখন খেলার মাঠের মতো খাঁ খাঁ করছে। এ নৌ-পথে প্রতিদিন ২ শতাধিক গাড়ি পারাপার হলেও বর্তমানে ২০-৩০টির বেশী যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এতে গত প্রায় ১ মাসে এ ঘাটের রাজস্ব আয় কমেছে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা। সরেজমিন বুধবার বিকেলে হরিনা ফেরিঘাট ঘুরে দেখা গেছে, এক দেড় ঘন্টা পর পর একটি ট্রাক বা পিকআপ আসছে ঘাটে। অথচ কয়েক ঘন্টা ধরে ‘কামিনী’ ফেরিটি ঘাটে অবস্থান করছে। যানবাহন না থাকায় ছেড়ে যেতে পারছে না। অপরদিকে ঘাট সম্পৃক্ত কর্মক্ষম মানুষগুলোও অলস সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভাই আমরা কাজের মানুষ, অ্যামনে কি বইসা থাকতে পারি। এভাবে আর ভালো লাগে না। বউ-পোলাপাইন লইয়া আর পারিনা। কবে বন্ধ হইবো এ হরতাল অবরোধ’? গাড়ি চালক দেলোয়ার হোসেন, রুবেল মিয়া ও সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘাটে যে দুই একটা যানবাহন আসছে, তাও আসছে অনেক আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর সড়ক অনেক ঝুকিপূর্ণ, তাই এই ফেরি ঘাটে গাড়ি আসছে অনেক কম। কোনো ড্রাইভার-ই ঝুঁকি নিয়ে এ ঘাটে আসতে চায় না বলে জানায় তারা। হরিনা ফেরি ঘাট ইজারাদার মোজাম্মেল হোসেন টিটু জানান, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ থেকে এক বছরের জন্যে ৪১লাখ ৪১ হাজার টাকা ৪২টাকায় ঘাট ইজারা নিয়েছি। অন্যান্য সময় ফেরি পাওয়া যেত না। গাড়ি সিরিয়াল ধরে বসে থাকতো। অথচ এখন ফেরি ঘাটে বসে থাকে কিন্তু যানবাহন নেই। এ বছর অনেক লোকসানের সঙ্কায় সরকারি সহায়তা চেয়েছেন এ ঘাট ইজারাদার। হারিনা ফেরিঘাটের ম্যানেজার কে এম এমরান হোসেন জানান, এ ঘাটে ৩টি ফেরি প্রতিদিন ১২-১৩টি ট্রিপ
দিতো। যার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় হতো প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। অথচ হরতাল অবরোধে আয় দাঁিড়য়েছে মাত্র ৪০-৫০ লাখ টাকায়।