চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দুপাশ অবৈধ দখলের প্রতিযোগিতা চলছে

 In প্রধান খবর, লিড নিউজ, শীর্ষ খবর




চাঁদপুর প্রতিনিধি



গত ২/৩ মাস ধরে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দু’পাশে থাকা এবং রেলস্টেশন সংলগ্ন ভূমি দখলের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে কতিপয় ভূমিদস্যু। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এক শ্রেণির রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজসে এ দখল প্রক্রিয়া চলছে। চাঁদপুরের বেশ কটি স্থানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বনায়ন ও মাছ চাষের নামে যৎসামান্য ভূমি বা ডোবা লীজ এনে তা ভরাট করে রাতারাতি গড়ে তুলছে স্থাপনা।



চাঁদপুর শহর এলাকায় ছায়াবাণী হতে পাকিস্তান শাসন আমল থেকে সিএসডি গোডাউন (জেলা খাদ্য গুদামে) রেলওয়ের মালবাহী বগী দ্বারা খাদ্য আনা-নেয়া করা হত। যা স্বাধীনতার পরও কয়েক বছর চালু ছিল। গত ১৮/১৯ বছর যাবৎ এটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু রেলওয়ের স্লিপার ও সড়কটি এখনও সচল রয়েছে। সিএসডি গোডাউনে রেলমাধ্যমে মালামাল আনা-নেয়ার বন্ধ থাকার সুযোগে কতিপয় ভূমিদস্যু রেল লাইনের বর্তমানে পুরো রেল লাইনকে দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এমনকি বাণিজ্যিক মার্কেটও নির্মাণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে লিয়াজো করে যৎ সামান্য বনায়নের নামে লীজ নিয়ে পুরো এলাকাটি জুড়ে স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে।



অন্যদিকে চাঁদপুর-লাকসাম রেল লাইনের দু’পাশে ৩০ ফুট করে ৬০ ফুট জমি রেলওয়ের অধীনে থাকলেও বর্তমানে তার অধিকাংশ বে দখল হয়ে আছে। চাঁদপুরের কিছু সংখ্যক ভূমিদস্যু ভূমি দখল করে তা ভরাট করে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে চলেছে। কাগজে কলমে সামান্য ভূমি লীজ থাকলেও ক্ষমতার দাপটে এরা তাদের ইচ্ছেমত ভূমি ভরাট করে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তুলে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। আর এর সুবিধাভোগী হচ্ছে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ভূমি কর্মকর্তারা।



তারাও রাতারাতি লাখপতি হচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা এক বিভাগ আরেক বিভাগের উপর দোষ চাপাচ্ছে। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে মোট ১১টি রেলস্টেশনের আশ-পাশের ভূমি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দখল করে অসংখ্য স্থাপনা ও মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি শহরের গুরুত্বপূর্ণ কোর্টস্টেশনের প্লাটফর্ম দখল করে গরু রাখার ঘর পর্যন্ত করা হয়েছে। মৈশাদী রেলস্টেশনটি লাগোয়া ভূমি দখল করে বহু বাণিজ্যিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে রেলস্টেশনটিই এখন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া অন্যান্য স্টেশনগুলিরও একই অবস্থা বিরাজ করছে।



এতকিছুর পরও রেলওয়ের কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। এব্যাপারে রেলওয়ের লাকসাম কানুনগো আব্দুল হালিম ভূমিদস্যু কর্তৃক অবৈধভাবে রেলওয়ের ভূমি দখলের কথা স্বীকার করে বলেন আমাদের জনবল সংকটের কারণে আমরা এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না। এব্যাপারে অবৈধ দখলকৃত স্থাপনার সংখ্যা চিহ্নিত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে বলে যুগান্তরকে তিনি জানান।

Recent Posts

Leave a Comment