অনলাইনে মোবাইল কিনতে ডেকে অপহরণ, আটক ৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
online pharmacy
ঢাকা: canadian
world pharmacy বিক্রয় ডটকম ও ফেসবুকে মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ। এরপর তাকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিবারকে কান্নার শব্দ শুনিয়ে মুক্তিপণও দাবি করা হয়। ঘটনার তৃতীয়দিন শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর তোপখানা রোডের ‘বৈশাখী’ নামের একটি আবাসিক হোটেল ও রেস্তোঁরা থেকে ওই generic viagra online ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এ সব তথ্য জানান।
এ ঘটনায় অপহরণকারী দলের পাঁচ সদস্য ও তাদের সহযোগী দুই বিকাশ এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. শরীফ হোসেন, নিধন চন্দ্র
দাস, মো. সেলিম, হোটেল বয় মো. আব্দুল কাদের এবং dilaudid online pharmacy বিকাশ এজেন্ট মালিক মো. নাছির উদ্দিন ও তার কর্মচারী মো. বাপ্পি। তাদের হেফাজত থেকে একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
অপহৃত ব্যক্তির নাম মোহাইমিনুল ইসলাম (১৯)। গত বুধবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় মোবাইল কেনার কথা বলে আদাবর শেখেরটেক এলাকার ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় তাকে।
আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত বৈশাখী হোটেলে লোকজন অপহরণ করে একই কায়দায় মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। ওই হোটেলের পাশে ১৭/২ নম্বর বিল্ডিংয়ের নীচতলায় নাছির টেলিকম নামের একটি বিকাশের দোকান হতে অপহৃত ভিকটিমের বাবা-মা ও আত্মীয়দের কাছ থেকে মুক্তিপনের টাকা নাছির টেলিকমের মালিক নাছির ও কর্মচারী বাপ্পি’র যোগসাজশে আদায় করা হতো।
তবে এ ঘটনায় বৈশাখী হোটেলের কাউকে আটক করেনি পুলিশ। এ বিষয়ে ডিবি কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “হোটেল কর্তৃপক্ষের কেউ জড়িত থাকতে পারে। কারণ
তিন-চার দিন ধরে হোটেলের একটি কক্ষে একজনকে বন্দি করে নির্যাতন করা হচ্ছে, আর কর্তৃপক্ষের কেউ জানে না তা তো হতে পারে না। ওই হোটেলের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বৈশাখী হোটেলের পঞ্চম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে মোহাইমিনকে নির্যাতন করে অপহরণকারীরা। মোবাইলের মাধ্যমে চিৎকারের শব্দ তার বাবা-মাকে শোনাতো হত এবং ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ফখরুল ইসলাম আদাবর থানায় মামলা করেন।
মনিরুল বলেন, “মামলার পর ডিবি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে তদন্তে নেমে সন্দেহ হলে প্রথমে হোটেল বয় আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে শাহাদাৎ ও শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি নিধন সার্বক্ষনিক ভিকটিম মোহাইমিনুলকে নজরদারির মধ্যে রাখত। মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা দেয়া না হলে মোহাইমিনকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল তারা।”
এ পর্যন্ত এ রকম পাঁচ-ছয়জনকে অপহরণ করে আসামিরা মুক্তিপণ আদায় করেছে বলে দাবি পুলিশের। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুক্তিপণের টাকা তারা বৈশাখী হোটেলের পাশের ১৭/২ নম্বর ভবনের নীচতলায় নাছির টেলিকমের বিকাশের দোকান থেকে আদায় করত। এ দোকানের মালিক নাছির ও কর্মচারী বাপ্পি এ কাজে অপহরণকারী চক্রকে সাহায্য করত।
ডিবি জানায়, অপহরণকারী চক্রের আরও দুজন সদস্য পলাতক। এদের মধ্যে একজন নারী ও অন্যজন পুরুষ। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।