এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ : শ্বাসরুদ্ধকার ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটের বিশাল জয়
কাদের পলাশ॥
যখন সৌম্য সরকার ৪৭ বলে ৪৮ রানে ব্যাটিং ক্রিজে তখন বাংলাদেশের জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। পরের বলে সৌম্যের বিদায়ের পরও বাংলাদেশের সমর্থকদের মাঝে এতটুকু ভয় ধরাতে পারেনি। তবে ১৭তম ওভারে সাকিবের বোল্ড কিছুটা হলেও মনে কাঁপন ধরিয়ে দেয় পাকিস্তান। অবশ্য অপ্রতিরোধ্য মাশরাফির ক্রিজে গিয়ে দুই বলে টানা দুই চার মারার পর মনে বিশ্বাস ফিরে পায় ১৬ কোটি আম মানুষ। মনে মনে আঁকতে শুরু করে স্বাপ্নের ফাইনালের রূপরেখা। শেষ পর্যন্ত মাহমদুল্লাহ রিয়াদের উইনিং সটে উল্লাসে ফেটে পড়ে পুড়ো বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ ১৫ বলে করেন ২২ রান। আর মাশরাফি বিন মুর্তজা করেন ১২ রান।
বাংলাদেশ শুরুতে তামিম ইকবালের (৭) উইকেট হারালেও সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানের সতর্ক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দলীয় ৪৬ রানে শহিদ আফ্রিদির শিকারে পরিণত হয়ে ১৪ করে সাজঘরে ফেরেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। তিনি আউট হওয়ার পূর্বে ১৫ বলে করেন ১৪ রান।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ আহমেদ।
বাংলাদেশের হয়ে আল আমিন হোসেন তিনটি ও আরাফাত সানি দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তাসকিন আহমেদ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মারাত্মক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। ২৮ রান তুলতেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। চাপে পড়া পাকিস্তানকে ১২ ওভার পর্যন্ত রানের চাকা আটকে রাখে বোলাররা। তবে ১২ থেকে ১৬ ওভার- এই চার ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল করেন সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিক জুটি। দলীয় ৯৮ রানে মালিককে ফিরিয়ে ৭০ রানের জুটিটি ভাঙ্গেন আরাফাত সানি। শেষ ওভারে ১০ রান তুললে লড়াকু সংগ্রহ দাড়িয়ে যায় পাকিস্তানের বোলাররা।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের জয় পরাজয়ের উপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু। বাংলাদেশ হারলে রানরেটের সমীকরণসহ নানান হিসাব নিকাশ। সব ভাবনার অবসান ঘটিয়ে এশিয়া কাপের এবারের ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ ও ভারত। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরেছিল। তবে ফাইনালে যেন সে হারের ক্ষত ফুসিয়ে দেয় এটাই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা।