চাঁদপুরে বিদ্যুত বিভ্রাটে কোটি টাকার ক্ষতি
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে আধাঘন্টার ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুত বিভ্রাটে নাকাল পল্লী বিদ্যুত সমিতি। এতে হাজারও গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার। রাত-দিন পরিশ্রম করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে ব্যস্ত পল্লী বিদুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। চাঁদপুর পল্লী বিদুৎ সমিতি-১ ও ২ ইউনিটের দেড় শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। এই দুই ইউনিটের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা।
গত রবিবার সন্ধ্যায় এই দমকা হাওয়ায় মহা বিপর্যয়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গত ছয়দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন জেলার অর্ধশত গ্রাম। বিদ্যুতের এই চরম সংকট অবস্থায় গ্রামের হাটবাজারগুলোতে কেরোসিন তেলের সংকট, মোমবাতির দাম বেড়ে যাওয়া ও হারিকেনের ব্যবহার বেড়ে গেছে। তাছাড়া মোবাইল চার্জ- নেটওয়ার্ক নেই, আইপিএস বন্ধ হয়ে গেছে ও প্রতিটি পরিবারের বাসা বাড়িতে থাকা ফ্রিজের সকল খাদ্য সামগ্রী ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে।
তবে দ্রুত গতিতে বিদুৎতের খুঁটি পরিবর্তন করে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হচ্ছে
বলে দ্য রিপোর্ট টুয়ান্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তর-১-এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ইউসুফ।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং হাটিলা ইউনিয়নের কাঁঠালী মুন্সী বাড়ীর গ্রাহক কবির মুন্সী দ্য রিপোর্টকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের রাখা প্রায় ১০ হাজার টাকার মাছ-মাংসসহ সকল খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে।
কচুয়া উপজেলার খাজুরিয়া-লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জুর আহমেদ সেলিম। তিনি দ্য রিপোটকে জানান, ওই গ্রামের প্রায় ২০ ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ তছনছ হয়ে গেছে।
শাহরাস্তি পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) দেবাশীষ পাল জানান, ওই দিন ঝড়ে ২৩টি বিদ্যুতের খুঁটি, ৯৬টি অধিকস্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ও অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটির মাথা গাছ পড়ে ভেঙ্গে গেছে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে মহামায়া জোনের কর্মকর্তা নারায়ণ কান্তি বলেন, দমকা হাওয়ায় প্রায় অর্ধশত বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। তারচেয়ে বেশি বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে বেশি। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম ইঞ্জিনিয়ার নিজাম উদ্দিন ক্ষয়-ক্ষতি প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। দমকা হাওয়ায় চাঁদপুর-১ জোনের প্রায় ১২৮ টি খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। পর্যায়ক্রমে খুঁটিগুলো পরির্বতন করে দ্রুত সংযোগ চালু করা হচ্ছে। এতে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও আনুষাঙ্গিক মালামালসহ প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।