চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বকেয়া প্রায় ১১ কোটি টাকা
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর পল্ল¬ীবিদুৎ সমিতি-২ এর বকেয়া বিল আদায়ে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এতে পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে গ্রাহকদের বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও চাঁদপুর সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিন ও মতলব উত্তরসহ ৫ উপজেলায় গ্রাহকের বকেয়া বিল পড়ে রয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। এ বিশাল বিল আদায়ে পল্লিবিদ্যুৎ মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সরকারি অঙ্গিকার বাস্তবায়নে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বকেয়া আদায়ে মাঠে নেমেছে। হিসেব অনুযায়ী, চাঁদপুর সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিন ও মতলব উত্তরের হাজার হাজার গ্রাহক দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১১ কোটি টাকা আটকে রেখেছেন।
অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের এহেন অভিযানে বসে নেই গ্রাহকরাও। তারাও বকেয়া পরিশোধে আন্তরিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। অথচ বকেয়া আদায়ের নামে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনায় গ্রাহকদের সাথে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীর অসদাচরনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গ্রাহকরা দু:খ প্রকাশ করেছেন। যদিও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নের্তৃবৃন্দ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জি এম আবু তাহের বলেন, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কাজ করে চলেছে। এছাড়াও গ্রাহকদের সেবার মান উন্নয়নে পল্লীবিদ্যূৎ সমিতি নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি গ্রাহকদের সাথে অসৎ আচরনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সেবাই আমাদের লক্ষ্য। খারাপ আচরন কখনোই কাম্য হতে পারে না। তিনি বকেয়া পরিশোধে দালালদের থেকে দূরে থাকার আহবান জানান।
এদিকে সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ও রামপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদু্েযতের গ্রাহক আব্দুল খালেক, তাহের বেপারী ও অমর নাথ জানায়, আমরা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২/৪ ঘন্টা বিদ্যূৎ পাই। এ কারনেই কিছু কিছু গ্রাহক ক্ষোভে সঠিক ভাবে
বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি। তবে সংযোগ অব্যহত রাখতে হলে অবশ্যিই বিল পরিশোধ করবে। কিন্তু সেবা না দিয়েই পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গ্রাহক হয়রানীর পথ বেছে নিচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।