জানা যায়, চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি পেট্রোল টিম রাতে নিরাপত্তায় কাজ করছিল। হঠাৎ করে রাত পৌনে ১০টা থেকে চাঁদপুর নতুন বাজার পুরান বাজার সেতুর ওপর ওই পেট্রোল টিম অবস্থান নেয়। এসময় সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী সকল মোটরসাইকেল গতিরোধ করে পুলিশ সদস্যরা। গাড়ির প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র দেখানোর পরও নানা ছলচাতুরিতে কয়েক’শ মোটরসাইকেল আরোহীকে দাঁড় করিয়ে হয়রানি করে। এ হয়রানিতে পড়েন একজন টেলিভিশন সাংবাদিকও। পুরান বাজার থেকে নতুন বাজার সেতুর উপর দিয়ে আসার সময় ওই সাংবাদিকের গতি রোধ করেন এক পুলিশ সদস্য। পরিচয় দেওয়ার পরও তিনি মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে এসআই জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরে ওই সাংবাদিক এসআই জাকির হোসেনকে নিজের পরিচয় দিলে তিনি বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখান। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখালে তিনি গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলেন। পরে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে গেলে তিনি অন্য আরোহীদের সঙ্গে কথায় ব্যস্ত থেকে প্রায় আধাঘন্টা ওই সাংবাদিককে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহারকে জানানো হলে তিনি এসআই জাকিরের সঙ্গে কথা বলেন। মুঠোফোন কাটার পর ওই সাংবাদিকের সঙ্গে রূঢ় আচারণ শুরু করেন এসআই জাকির। এক পর্যায়ে বাকি তিন পুলিশ সদস্য এসে আরো ঔদ্ধ্যপূর্ণ আচরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিক কোনো কথা না বলে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহ ওলিকে জানানো হলে তিনি জানান, আপনি আগে আমাকে জানালেন না কেন? যাই হোক বিষয়টি আমি দেখছি।
অপরদিকে আবদুর রহমান, সফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, রাত ১০টার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছি। এসময় পুলিশের এমন হয়রানি সত্যি খুবই দুঃখজনক। তাছাড়া ট্রাফিক পুলিশের এতো তৎপরতা সত্ত্বেও থানা পুলিশের হঠাৎ এ অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ। থানা পুলিশ কর্তৃক রাতের বেলা মোটরসাইকেল আরোহীদের এমন হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তারা।
চাঁদপুরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন জানান, রাত ১০টার পর ট্রাফিক পুলিশের কোনো টিম মাঠে কাজ করে না।