চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে হিসেবে ঢাকা এসেছেন দেশটির ৮৬ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। শনিবার বিকালে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এই বৈঠক আয়োজন করে এফবিসিসিআই ও চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড-সিসিপিআইটি।
বৈঠকে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় হয় তাদের। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব ছাড়াও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিকেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির, অ্যাপিলিয়ন গ্রুপের রেজাউল কবির বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারম্যান চ্যান ঝউ, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ওয়াং জু শেং, টিবিয়ান ইলেকট্রিক অ্যাপারেটর কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঝাওয়াংশি বক্তব্য দেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুনের উপস্থিতিতে ওই সব চুক্তি সই হয়।
বৈঠকের পর মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ১৯টি চুক্তি সই হয়েছে। আশা করছি, পরবর্তীতে এ সংখ্যা বেড়ে ৫০টির মত হতে পারে। চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে নিশ্চয় লাভবান হবেন।’
সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারম্যান চ্যান ঝউ বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশে বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যেই রয়েছে। আমরা আস্থা নিয়ে এ দেশের বিনিয়োগ পার্কে বিনিয়োগ করব। আমাদেরই এই প্রতিনিধি দলে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা এদেশে বিনিয়োগ করতে চান।’
তিনি আরো বলেন, ‘চামড়া, অবকাঠামো, তৈরি পোশাক, ওষুধ, অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা চিন্তা করছি আমরা। চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য চীনে রপ্তানি করে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করা সম্ভব।’
দুই দিনের সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকা পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শি’র নেতৃত্বে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।