এ সময় খাদিজার কোমরে বেল্ট বেধে হুইল চেয়ারে করে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নেওয়া হয়।
এদিকে খাদিজা কাউকে চিনতে পারছে না বলেও জানান তার মামা বাছেদ। তিনি বলেন, খাদিজার নাম ধরে ডাক দিলে চোখ খুলে তাকায়। কিন্তু কাউকে চিনতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, আমি আর খাদিজার বড় ভাই দু’জনে অনেকবার খাদিজা খাদিজা বলে ডেকেছি, কখনো চোখ খুলে সাড়া দেয়, আবার কখনো দেয় না। আমাদের চিনতে পারছো কিনা জিজ্ঞেস করলে কোনো সাড়া দিচ্ছে না খাদিজা।
সোমবার অপারেশনের আগে খাদিজাকে আবার লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হবে। এ বিষয় নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত বলেনও জানান আব্দুল বাছেদ।
এদিকে খাদিজার গলায় নল লাগানো থাকায় সে কথা বলতে পারছে না। আগামী সপ্তাহে তার গলার নল খোলা হতে পারে। সেই সময় খাদিজা কথা বলবে বলে ধারণা চিকিৎসকদের। এমনটিও জানান আব্দুল বাছেদ।
খাদিজার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তার বড় ভাই শাহীন আহমেদ বলেন, আগামীকাল সোমবার তার দুই হাতে অপারেশন করা হবে। এছাড়া তার বাম পাশ স্বাভাবিক করার জন্য ফিজিওথেরাপি দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ তার বাম পাশ স্বাভাবিক হবে সেই বিষয়ে জানতে অনেক সময় লাগবে।
খাদিজার পরিবারের আশঙ্কা এখনো কাটেনি। তার বড় ভাই আরো বলেন, খাদিজা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজছাত্রী খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
ওই ঘটনার পর প্রথমে খাদিজাকে সিলেটে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৪ অক্টোবর ভোরে ঢাকায় আনা হয়। ওই দিন দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন।