এদিন সকাল ১১টার দিকে হঠাৎই বিকট আওয়াজ হোম অব ক্রিকেটের স্পর্শকাতর সীমানার মধ্যে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেলো খেলোয়াড়রা জিম্মি হয়ে পড়েছেন! তখনই জরুরি ডাকে সাড়া দিতে এগিয়ে আসেন সেনাবাহিনীর কমান্ডো সদস্যরা। এরপর জিম্মি খেলোয়াড়দের উদ্ধারের পালা। কিছুক্ষণ গোলাগুলির শব্দ! জিম্মিকারীদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালান কমান্ডোরা। মুহূর্তের মধ্যেই সব তাদের নিয়ন্ত্রণে! জিম্মিদশা থেকে মুক্ত খেলোয়াড়রাও! এরপর একাডেমি মাঠে থাকা হেলিকপ্টারে করে খেলোয়াড়দের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্য!
অনেকটা চেনা এই দৃশ্যগুলো সেলুলয়েডের পর্দায় দেখা যায়। সেটাই মহড়ার ছলে করে দেখালেন প্যারা-কমান্ডোবাহিনীর সদস্যরা। মহড়া চলেছে আধঘণ্টা ধরে। দুটি হেলিকপ্টার ও প্রায় অর্ধশত প্যারা-কমান্ডো মহড়ায় অংশ নেন।
মহড়া শেষে প্যারা-কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এম ইমরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘দেশ ও জাতির যেকোনো প্রয়োজনে অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার সেনাবাহিনীকে যেকোনো দায়িত্ব অর্পণ করলে তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রাখি। চলমান বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ক্রিকেট সিরিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেই ধারাবাহিকতাই অবলম্বন করছে।’
তবে বিশেষায়িত এই বাহিনীকে কেবল বিশেষ পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বিশেষ কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে প্রবেশ করবেন না। ফোর্স-১ প্যারা-কমান্ডো বাহিনী বাংলাদেশ আর্মি এভিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও এর সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চৌকোষ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত।
উল্লেখ্য, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি হবে ৭ অক্টোবর। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একই মাঠে ৯ অক্টোবর লড়বে দুদল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সবগুলো ম্যাচই হবে দিবা-রাত্রির। পরে দুই টেস্টের সিরিজে লড়বে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড।