রোহিঙ্গা ইস্যুতে গভীর উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশে জটিল পরিস্থিতি
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ
রাখাইনের সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে তারা। যুক্তরাষ্ট্র আরো বলেছে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এক জটিল অবস্থায় পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে বিপন্ন মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা চলছে। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির শান্তিতে নোবেল পুরস্কার এখন কি তার কাছে রাখা উচিত কিনা। এ ছাড়া ওই ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা অং সান সুচির ‘ভুয়া খবর’ ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে চান। শুরুতেই হিদার নুয়ার্ট বলেন, ২৫ শে আগস্ট থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যে হাজার হাজার মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সহযোগিতা করার জন্য জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আমরা মিয়ানমারের প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিকভাবে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি এই সহিংসতা বন্ধের জন্য এবং আক্রান্তদের সহযোগিতা করার জন্য। নিচে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ইস্যুতে ব্রিফিং তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আমরা মিয়ানমারের প্রসঙ্গে ফিরে যাচ্ছি না কেন? এইমাত্র আপনি আপনার বিবৃতিতে বলেছেন, সব সম্প্রদায়কে রক্ষার প্রয়োজনীয়তার জন্য মিয়ানমার যে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বাগত জানিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি অং সান সুচি সরকারের কাছ থেকে গুরুত্ব দিয়ে এ বার্তা দেয়া হয় নি। আপনি কিÑ যুক্তরাষ্ট্র কি এই অবস্থানে এসে নিশ্চিত বা বিশ^াস করেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করার কোনো চেষ্টা বা খায়েস আছে মিয়ানমার সরকারের?
হিদার নুয়ার্ট: ভাল কথা। আমি মনে করি সেখানে কয়েকটি ঘটনা চলছে। আপনারা যারা সাংবাদিক, যাদের পরারাষ্ট্র বিষয়ে নেশা আছে, তারা ভাল করে জানেন যে, ওখান (রাখাইন) থেকে তথ্য পাওয়া একটি জটিল বিষয় হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রবেশের বিষয়টিও জটিল। আমরা মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানই আরো বেশি রিপোর্টার, সাংবাদিককে মিয়ানমারে প্রবেশের উন্নততর, অধিকতর সুযোগ দেয়ার জন্য, যাতে তারা বাস্তবে কি ঘটছে সে বিষয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারেন। সেখানে এখনও এক মানবিক সঙ্কট বিরাজ করছে। মানবিক সাহায্য বিষয়ক গ্রুপগুলোও সেখানে (রাখাইনে) প্রবেশ করতে পারছে না। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও সাহায্য সহযোগিতা দিতে পারছেন না। আমরা এ নিয়ে সেখানকার সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তাতে শুধু সহিংসতার প্রসঙ্গই থাকছে এমন নয়, এক্সেত্রে স্থান পাচ্ছে সাংবাদিকদের (প্রবেশ) ও আরো জোর দিয়ে বলা যায় মানবিক সাহায্যের বিষয়। মিয়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূত স্কট মারসিয়েলÑ তিনি ও আমি আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) পরিস্থিতি নিয়ে অল্প বিস্তর কথা বলেছি।