ঈদেও ইলিশের আড়ৎ জমজমাট
চাঁদপুর প্রতিনিধি ॥
ঈদুল আযহার দিন কোরবানি নিয়ে মানুষ ব্যস্ত থাকলেও বিকেল থেকেই রূপালী ইলিশের রাজধানী বড় স্টেশন মৎস্য আড়তে ভীড় জমিয়েছে ক্রেতারা। ক্রেতাদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে ইলিশ বাজার। আত্মীয় স্বজন ও জেলার বাহির থেকে ঈদ করতে আসা কেউই ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে চায় না। ঈদের যেসব খাবার মেনু রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম রূপালী ইলিশ। তবে ইলিশের মূল্য বেশী হওয়ার কারণে চাহিদা মত ক্রয় করতে পারেনি অনেকে। ভর মৌসুমে ইলিশের আমদানি কিছুটা কম থাকায় দর বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় মৎস্য আড়তে প্রবশে করতেই দেখা গেছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভীড়। আওয়াজ দিয়ে ইলিশ দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। অধিকাংশ আড়তে বিক্রি হচ্ছে পাইকারী। আড়তের সামনেই ছোট করে দোকান সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে খুচরা। আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশের চালান পাঠাতে বাক্স ভর্তি করছেন শ্রমিকরা।
পাইকারী ইলিশ বিক্রেতা হুমায়ুন কবির জানান, ঈদুল আযহার দিন বিকেলে আড়তে এসে দেখি খচুরা ইলিশ ক্রেতাদের ভীড়। শহরের মাছের বাজারগুলোতে বেচা-বিক্রি কম থাকায় অনেকেই আত্মীয় স্বজনকে ইলিশ খাওয়ানোর জন্য আড়তে এসে হাজির হয়েছেন। তবে বড় ইলিশের দাম একটু বেশী হওয়ার কারণে অনেকেই চাহিদা মত ক্রয় করতে পারেননি। কারণ কোরবানির খরচ শেষে অনেকের পকেট ফাঁকা। ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১হাজার ৮শ’ টাকা।
আব্দুল বারেক নামে একজন ক্রেতা বলেন, ব্যস্ততায় ঈদের পূর্বে ইলিশ কেনা হয়নি। আত্মীয় স্বজন এসেছে বাসায়। তাই ইলিশের বাজার দেখতে আসলাম। দাম অনেক বেশী হওয়ায় ৩শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছি সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজি।
মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ জানান, দক্ষিনাঞ্চলীয় ইলিশের আমদানি বাড়লে দর অনেকটা ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তবে বড় সাইজের ইলিশ বেশীর ভাগ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাইকারী দরে চালান করছেন ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান জানান, গত ১ সপ্তাহ ইলিশের আমদানি কম। আবার মাঝে মাঝে বেড়ে যায়। তবে বড় ইলিশের চাইতে ছোট সাইজের ইলিশই বেশী ধরা পড়ছে। চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় এ বছর বড় সাইজের ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। তবে গত বছর যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়াগেছে এ বছর তার চাইতে কম হওয়ার আশঙ্কাই বেশী।