চাঁদপুরে অলিগলিতে ইলিশ!
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর শহরের অলিতেগলিতে ইলিশ বিক্রি ধুম পড়েছে। শনিবার সারা দিন থেকে রাতে পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ছোট বড় ইলিশ। এভাবে ইলিশ বিক্রির অন্যতম কারণ ১ অক্টোবর রোববার রাত ১২টা (এন্টি মেরিডিয়াম) টানা ২২দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ সারাদেশের ছয়টি অভয়াশ্রম এলাকায় এ কর্মসূচি চলবে।
একারণে শনিবার পর্যন্ত ধৃত সকল মাছ বিক্রি করে দেয় জেলে ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। জেলেরা যদিও আড়তেই তাদের মাছ বিক্রি করে দিয়েছে। কিন্তু খুচরা বিক্রিতেরা মাছ বিক্রি করতে ঢুকে পড়ে শহরের অলিতেগলিতে। চাঁদপুর শহরের নাজিরপাড়া, বঙ্গবন্ধু সড়ক, দর্জিঘাট, পালপাড়া, আদালত পাড়া জোড়পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন এলাকা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে।তবে এসব ইলিশ বড় আকারের নয়। অল্প কিছু মাঝারি আকারের ইলিশ থাকলেও অধিাকংশই হচ্ছে ৩০০-৪০০গ্রাম। যা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায়।
এদিকে শনিবার বিকেলে মাদ্রাসা রোড, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলেরা সবাই জাল নদী পাড়ে তুলে রেখেছে। দিনের বেলায় রোদে জাল শুকিয়ে মেরামত করছে কেউ কেউ। কর্মসূচি সফল হোক এটা তারাও চায় । তবে সরকারের তরফ থেকে যে খাদ্য সহায়তা দেয়ার কথা তা দ্রুত জেলেদের হাতে পৌছে দেয়ার দাবি জানান তারা।
চাঁদপুর মৎস্য বিভাগ জানায়, চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচর ৬০কিলোমিটার এলাকা মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। তাই মা ইলিশ রক্ষায় অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বিশেষ তদারকি করবে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে প্রথমবার একমাস হতে সর্বোচ্চ ছয় মাস দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে দুই বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড হওয়ার বিধান রয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান জানান, গত বছর মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রম সফল হওয়ায় এবছর ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। আশা কারছি এবছরও এসব কার্যক্রম সফল করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, এবছর চাঁদপুরের ৫০হাজার ৯০জন ইলিশ জেলের জন্যে ২০কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আমরা এখনো চাল পাইনি। পেলে অবশ্যই দ্রুত জেলেদের পৌছে দেয়া হবে।