‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে এই সরকার। শুধু তাই নয়, যে বা যারা তাদের (সরকার) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কথা বলতে চায়, লিখতে চায়, তাদেরকে গুম করে দেয়া হচ্ছে। তাই একটি কথা স্পষ্ট দেশে আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, ২০১৪ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন,অনির্বাচিত সংসদ দ্বারা তৈরি সংবিধান দেশের মানুষ সমর্থন করে না। তাই সংবিধানের বুলি না তুলে কথা বলুন, আলোচনা-সংলাপ করুন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ইসির পরিচালনায় নির্বাচন দিন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমরা দুই বছর আন্দোলন করছি না। দেশেনেত্রী খালেদা জিয়া সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বার বার সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আজ দেশে আইনাঙ্গনে যে ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। সরকার নিজের হাতে বিচার ব্যবস্থাকে খণ্ডবিখণ্ড করে দিয়েছে। ফলে এখন সরকার ইচ্ছে করলে যেকোনো বিচারককে অপমান করতে পারবে, অজুহাত দিয়ে বিদায় করতে পারবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আন্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।