বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ দৃশ্য চাঁদপুরে সরাসরি সম্প্রচার হবে

 In চাঁদপুর, দেশের ভেতর, প্রধান খবর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্বের ১শ’ ৯৬টি দেশের মধ্যে ৫৭তম স্যাটেলাইট ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর ডানা মেলার অপেক্ষার অবসানের প্রহর গুণছে বাংলাদেশ। বাঙালির এই স্বপ্নযাত্রার অপেক্ষা আর মাত্র কদিন। দেশের প্রথম এ কৃত্রিম উপগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএঙ্রে ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করা হবে।

 
বাংলাদেশের এ বিরল অর্জন দেশের মানুষের মাঝে তুলে ধরতে অর্থাৎ এই উৎক্ষেপণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করতে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এবং এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের বিস্ময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও উৎসবের আমেজে চাঁদপুরের মানুষ অবলোকন করবে। সারাদেশের মানুষ এ কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে চলাকে উপভোগ করবে।

 
জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের পরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সে প্রেক্ষিতে আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান ঢালী প্রমুখ। উল্লেখ্য, সহসাই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। আর এ দৃশ্য সেদিন বাংলাদেশের সর্বত্র সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। চাঁদপুরও এর থেকে বাইরে থাকবে না। চাঁদপুর শহরের পালবাজার ব্রিজের গোড়ায় এবং বাবুরহাট-মতলব রাস্তার মাথায় এটি সরাসরি সম্প্রচার করার স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পরদিন হবে আতশবাজি উৎসব। এ আতশবাজি উৎসব হবে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে। এদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণও দিবেন।

 
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। আর ঋণ হিসেবে এইচএসবিসি ব্যাংক বাকি ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্যে রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্যে রাখা হবে।

 
এই কৃত্রিম উপগ্রহ স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা দেবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ট্যারিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল থাকা, পরিবেশ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ই-সেবা নিশ্চিত করবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

Recent Posts

Leave a Comment