হঠাৎ অশান্ত পাহাড়

 In জাতীয়, প্রধান খবর, লিড নিউজ

আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্বে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়। গত বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতি-জেএসএসের (এমএন লারমা) সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে হত্যার একদিনের মাথায় প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে মারা হয়েছে আরও পাঁচজনকে

গতকাল শুক্রবার শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে খালিয়াজুড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহতরা হলেন- ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, জেএসএসের সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির (এমএন লারমা) মহালছড়ি শাখার সভাপতি সুজন চাকমা, সদস্য তনয় চাকমা, রবিন চাকমা এবং তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসচালক মো. সজীব।

জেএসএসের (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ঘটনাস্থলেই মারা যান তপন, সুজন ও তনয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রবিন ও সজীব। তিনি জানান, শক্তিমানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে সংগঠনের ১২ জন নেতাকর্মী খাগড়াছড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে বেতছড়ি এলাকায় তাদের গাড়িতে অতর্কিতে ‘ব্রাশফায়ার’ করা হয়। জেএসএস (এমএন লারমা) এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দাবি করেছে, ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আগের দিন শক্তিমান চাকমাকেও হত্যা করেছে তারাই। জেএসএসের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা, সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা, আনন্দ প্রকাশ চাকমা ও রঞ্জন মনি (আদি) চাকমার সিদ্ধান্তে জনসংহতি সমিতির নেতাদের খুন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। রঞ্জন মনি (আদি) চাকমা বর্তমানে ইউপিডিএফের কোম্পানি কমান্ডার। তিনি মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ইউনিটে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশ পাওয়ার পর সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের মাচালং দীপুপাড়া এলাকার লক্কোচ চাকমা, ডাক নাম বাবু চাকমা, দলীয় নাম অর্পন চাকমা (কালেক্টর) একজন সহকারী নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দুই ঝোলা কাঁধে রেখে অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে খুব কাছে ও সামনে থেকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্ত্রাসী ও হত্যাকারী সংগঠন ইউপিডিএফ সরাসরি দায়ী। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই।’
ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা লিটন চাকমা বলেন, ‘শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করার পর তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য ইউপিডিএফ একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফ। গত বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডের পরপরই এতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপিডিএফের মুখপাত্র নিরন চাকমা। তিনি বলেন, ‘এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ঘটনার সঙ্গে ইউপিডিএফের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই ইউপিডিএফ জড়িত না। জেএসএসের এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এটা তাদের মনগড়া অভিযোগ। শক্তিমান যেখানে থাকতেন সেখান থেকে বাইরের কেউ গিয়ে তাকে হত্যা করে ফিরে আসা কঠিন। তাই আমার মনে হয়, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হতে পারে। অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।’

রাঙ্গামাটি জেলা সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে শক্তিমানের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি। একইভাবে শক্তিমানের শেষকৃত্যে আসার পথে যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের কারা হত্যা করেছে সেটাও বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ চেষ্টা করছে দ্রুততম সময়ে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার।
এ ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন। গতকাল শুক্রবার কমিশনের কো-চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, এলসা স্টামাতোপৌলৌ ও মির্না কানিংহাম কেইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

দেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের দাবিতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে ১৯৯৭ সালে সরকারের শান্তিচুক্তির সময়ই মত ও পথ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে জেএসএস থেকে বের হয়ে যায় একটি বিদ্রোহী গ্রুপ এবং শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করে ১৯৯৮ সালে প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে তারা গড়ে তোলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। টানা ১৯ বছর পর ইউপিডিএফও ভাঙনের মুখে পড়ে গত বছরের নভেম্বরে। ইউপিডিএফ থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), যার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তপনজ্যোতি চাকমা বর্মা। অপরদিকে ২০১০ সালেই জেএসএস থেকে বেরিয়ে গিয়ে জেএসএস (এমএন লারমা) নামে পৃথক সংগঠন গড়ে তোলেন সুধাসিধু খীসা। বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা জেএসএসের এ অংশের সহ-সভাপতি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াকালে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাও ছিলেন। পরে পড়াশোনা শেষ করে নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে যুক্ত হন জেএসএসের রাজনীতিতে।

অভিযোগ উঠেছে, জুম্ম জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের চেয়ে বিভক্ত আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে তিন পার্বত্য জেলা। দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য অঞ্চলে গ্রুপগুলো নিজেদের মধ্যে রক্তারক্তিতে মেতে উঠেছে। ভাতৃঘাতী হয়ে উঠেছে এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরস্পরে প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরেই পাহাড়ে একের পর এক খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজির মতো ঘটনা সবুজ পাহাড়কে রক্তে রঞ্জিত করছে। প্রতিটি ঘটনার জন্য সংগঠনগুলো দুষছে একে-অপরকে। এ নিয়ে সাধারণ পাহাড়িদের প্রতিমুহূর্তে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই দিন কাটাতে হয়। এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে পাহাড়ে বিবদমান জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসএস (এমএন লারমা) এবং নবসৃষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)-এ চার সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের জেরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় গত দুই দশকে প্রায় ৬০০ জনকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় তিন বছরের মতো পার্বত্যাঞ্চলে কোথাও ভাতৃঘাতী ঘটনা ঘটেনি। জানা গেছে, তিন আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (মূলধারা), ইউপিডিএফ ও জেএসএসের (এমএন লারমা) মধ্যে ‘অস্ত্রবিরতি’ চলছিল এ তিন বছর। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ‘ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক’ নামে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের পর ফের অশান্তির মুখে পড়ে পাহাড়। সংগঠনটি আত্মপ্রকাশের মাত্র ২০ দিনের মাথায় ৫ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউপিডিএফ নেতা অনাদি রঞ্জন চাকমাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পার্বত্য অঞ্চল। একই দিন পৃথক ঘটনায় জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমা, ১৫ ডিসেম্বর রাতে ধামাইছড়া এলাকায় ইউপিডিএফের সংগঠক অনল বিকাশ চাকমা ওরফে প্লুটো, ১০ মার্চ মধ্য রাতে ইউপিডিএফ নেতা নতুন মনি চাকমাকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। খাগড়াছড়িতে ৩ জানুয়ারি আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমাকে মারা হয় গুলি করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি সদরের হরিনাথ পাড়ায় ইউপিডিএফ কর্মী দীলিপ কুমার চাকমা, ২১ ফেব্রুয়ারি দীঘিনালা জামতলি এলাকায় সাইন চাকমা হত্যার ঘটনা আরও উত্তাপ ছড়িয়ে দেয় পাহাড়ে।

সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙ্গামাটি শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমা অপহরণের ঘটনা সংঘাতে জড়িত দলগুলোর মধ্যে আরও প্রতিহিংসা তৈরি করে। ওই অপহরণের ঘটনায় ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন। এমনই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও মারিশ্যা দীঘিনালার জোড়া ব্রিজ এলাকায় ইউপিডিএফের দুই নেতা তপন চাকমা (৪০) ও বিজয় চাকমাকে (৩২) গুলি করে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার জেএসএস (এমএন লারমা) নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা এবং গতকাল তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে আরও পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় তিন পার্বত্যাঞ্চলকে চূড়ান্ত অশান্তি ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিল। এ ঘটনার পর থেকেই পার্বত্যাঞ্চলের সাধারণ পাহাড়ি ও বাঙালি অধিবাসীরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক মহল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের নিন্দা

উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কমিশনের পক্ষ থেকে এ নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়।

পার্বত্যাঞ্চলে সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন বলেছে, সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের মতো ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের কোনো খবর এখনো শোনা যায়নি। সংঘটিত এসব ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। বর্তমান সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার যেখানে পুনর্বার ব্যক্ত করছে, সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নীরব ভূমিকা মোটেও কাম্য নয়।

বিবৃতিতে ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামে যাতে আর কোনো হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের মতো ঘটনা সংঘটিত না হয় সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারকে এ বিষয়ে আরও সোচ্চার থাকতে জোরালো আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের কো-চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, এলসা স্টামাতোপৌলৌ ও মির্না কানিংহাম কেইন। কমিশনের সদস্য হিসেবে- ড. স্বপন আদনান, লারস এন্ডারস বেয়ার, টোনা ব্লাই, হার্স্ট হেনাম, ড. ইয়াসমিন হক, ড. জাফর ইকবাল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, খুশী কবির, মাইকেল সি ভন ওয়াল্ট প্রাগ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বীণা ডি’কস্টা এবং উপদেষ্টা ইয়েনেকি এরেঞ্জ, টম এস্কিলসন, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতার নাম উল্লেখ রয়েছে বিবৃতিতে।

Recent Posts

Leave a Comment