বাংলাদেশে কোনো লোডশেডিং নেই, দাবি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর
বুধবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এমন দাবি করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো লোডশেডিং নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশর প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত একটি পরিসংখ্যান চালানো হয়েছে। এ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে দেশের ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষই বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট।
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমাদের খরচ হবে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। সঙ্গে ৪০০ একর জায়গা, সাড়ে তিন বছর সময়, ট্রান্সমিশন খরচ ইত্যাদি প্রয়োজন। ফলে বিদ্যুতের দাম আরও বেড়ে যাবে। সে তুলনায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে এ খরচটা অনেকাংশে কমে যাবে।
আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে নেপাল ও ভূটান থেকেও দেশে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে বলেও এসময় জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে সেমিনারে কথা বলেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমরা প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রতি অনেক বেশি নির্ভর হয়ে পড়েছি। তবে এখন প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়াও অনান্য জায়গা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এরমধ্যে কোল, হাইড্রো, তেল এবং অনান্য গ্যাস অন্যতম। এছাড়া বর্তমানে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্ল্যান নিয়ে কাজ করছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।
এমবিএ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যক্ষ ড. সায়েদ ফরহাত আনোয়ারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।