১০ ছক্কার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে দলকে জেতালেন পুরান
স্পোর্টস ডেস্ক :
টি-টোয়েন্ট ম্যাচ হিসেবে লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। তবে তিনি যে এই ফরম্যাটে বিধ্বংসী সেটা জানিয়ে দিলেন আরও একবার।
৪৫ বলের সেঞ্চুরিতে খেললেন ১০০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে নিকোলাস পুরান হাঁকালেন ১০টি বিশাল ছক্কায়, যেখানে বাউন্ডারি ছিল ৪টি।
রোববার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ২০তম ম্যাচে পোর্ট অব স্পেনে মুখোমুখি হয় সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারির্স। আর পুরানের সেঞ্চুরিতে ভর করেই ১৭.৩ ওভারে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় গায়ানা।
একটা সময় পুরানের সেঞ্চুরি পাওয়াটা কিছুটা অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কেননা দলের জয়ে ১৬ রান দরকার হলেও, তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ১৮ রান লাগতো। তবে ইশ সোধির ১৮ তম ওভারের করা প্রথম তিন বলেই তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করে অপরাজিত থাকেন পুরান।
১৫১ রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অ্যামাজন। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রস টেইলর। যদিও শুরুটা ভালো ছিল না ক্রিস গ্রিনের নেতৃত্ব দলটির। দলীয় ২৫ রানে টপঅর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তবে পুরান-টেইলরের ১২৮ রানের ঝড়ো জুটি জয়কে সহজ করে দেয়।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। জসুয়া ডা সিলভা সর্বোচ্চ ৪৬ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। এছাড়া ৩০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন দিনেশ রামদিন।
অ্যামাজন বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট পান অধিনায়ক গ্রিন। আর একটি করে উইকেট তুলে নেন কেভিন সিনক্লিয়ার ও রোমারিও শেফার্ড।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে পুরানের হাতে। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নাম্বারে উঠে এলো গায়ানা অ্যামাজন। আর হেরে তলানিতেই রয়েছে সেন্ট কিটস। শীর্ষ দুটি পজিশনে রয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ও সেন্ট লুসিয়া জুকস।