টাঙ্গাইলে গণধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিশেষ প্রতিনিধি,
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌশুলী (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, ২০১২ সালে সাগর শীলের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভূঞাপুরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি সাগর ভূঞাপুর এসে ওই ছাত্রীকে কৌশলে মধুপুরে নিয়ে যান। মধুপুরের চারালজানি গ্রামে রাজনদের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চান সাগর। কিন্তু বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সাগর তাকে ধর্ষণ করেন। পরে সেখানে মেয়েটিকে আটকে রাখা হয়। ১৭ জানুয়ারি রাতে মধুপুরে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে মেয়েটিকে সাগরসহ পাঁচজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। পরদিন (১৮ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পরে তার অভিভাবকরা এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। ওইদিনই (১৮ জানুয়ারি) ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ভূঞাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনই পুলিশ আসামি সুজনকে গ্রেফতর করে। সুজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে অন্য আসামিরাও গ্রেফতার হন।
তদন্ত শেষে ভূঞাপুর থানার পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।
মামলার বাদিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষ থেকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হয় বলে জানান সংস্থাটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ।
তিনি জানান, রায়ে তারা সন্তুষ্ট। ন্যায্য বিচার তারা পেয়েছেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা মিয়া জানান, রায়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।