মানসিকভাবে ভেঙে না পড়াটা আশাবাদী করছে মাশরাফিকে
রাত সাড়ে ১১টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ফুলেল অভ্যর্থনাই পেল বাংলাদেশ দল। এশিয়া কাপের শিরোপাটা জেতা হয়নি, তবে বাংলাদেশ যে দুর্দান্ত লড়াই করেছে, খেলোয়াড়দের কোনো গ্লানি-হতাশা কিছুই থাকা উচিত নয়।
মাশরাফি বিন মুর্তজা এটাই চেয়েছেন। ফাইনাল হারের যন্ত্রণা কিংবা তীরে এসে তরি ডোবার ঘটনা নেহাত কম নয়। অন্যবার যেটা হয়, বাংলাদেশ নিদারুণ ভেঙে পড়ে। মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে অনেক। হতাশ হলেও এবার ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েনি দল, মাশরাফিকে এটিই আশাবাদী করছে, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার তাদের (খেলোয়াড়দের) শক্ত দেখেছি। এটা ভালো দিক। সবাই শেষ পর্যন্ত লড়েছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জেতার ইচ্ছেটা ছিল। আমি কেন, ওদের নিজেদেরও এটা নিয়ে গর্ববোধ করা উচিত। সবাই উপলব্ধি করেছে কে কোথায় কী করতে পারত। এটা গুরুত্বপূর্ণ। (আমাদের) ক্রিকেট এগিয়ে যাবে, সামনে বড় বড় টুর্নামেন্ট আছে। সামনে বিশ্বকাপ আছে। বড় দুই-তিনটা সিরিজ আছে। চেষ্টা করব, এই ভুল সামনে যেন না হয়।’
চোটে পড়ে সাকিব আল হাসান ছিলেন না। ছিলেন না তামিম ইকবালও। দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই খেলোয়াড় থাকলে কি গল্পটা অন্য রকম হতে পারত? কল্পনা নয়, মাশরাফি বাস্তবতাটাই তুলে ধরলেন, ‘বলা খুব কঠিন। এর আগে (সাকিব-তামিম) ওরা থাকার পরও জিততে পারিনি (এশিয়া কাপ)। ওরা না থাকার পরও এবার যেভাবে লড়েছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। সামনে ওরা যোগ হলে চিত্রটা অন্য রকম হতে পারে।’
বারবার স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় পুড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক মাশরাফি, ব্যক্তি মাশরাফি কতটা হতাশ ব্যর্থতার এ পুনরাবৃত্তিতে? ‘একেবারে হতাশ নই। হতাশ হব সামনে যদি দলের ভেতর এই স্পিরিট না দেখতে পাই। যে মানসিকতা নিয়ে ছেলেরা খেলেছে, সামনে যদি এটা না দেখতে পাই, ভীষণ হতাশ হব।’
মাশরাফির বার্তাটা পরিষ্কার, ছোট ছোট ভুলে আজ যে শিরোপা হাতছাড়া হচ্ছে, ভবিষ্যতে যেন একই ভুলে বড় কোনো সুযোগ হাতছাড়া না হয়!