কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ল ব্রয়লারের দাম
বিশেষ প্রতিনিধি :
করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে বেশ কিছু দিন ব্রয়লার মুরগির দাম স্থির থাকলেও হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক দাম বেড়ে গেছে। দু’দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের শুরুতে মুরগির দাম কিছুটা কমেছিল। এরপর রোজার শুরুতে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বাড়ে। সপ্তাহ দুই স্থির থাকার পর এখন আবার মুরগির দাম বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় হঠাৎ মুরগির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্রয়লার মুরগির এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী শরিফ বলেন, ‘করোনার কারণে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা অনেক কমে গিয়েছিল। কয়েকদিন ধরে ফের চাহিদা বেড়েছে। এর ফলে ফার্ম ও পাইকারিতেও মুরগির দাম বেড়ে গেছে। বাড়তি দামে কিনে আনার কারণে আমরা এখন বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে যে হারে মুরগি বিক্রি হচ্ছিল তাতে আমরা ধারণা করছিলাম, ব্রয়লারের দাম বাড়তে পারে। তবে দু’দিনে এত বাড়বে বুঝতে পারিনি। বৃহস্পতিবার (৭ মে) যে দামে মুরগি কিনেছিলাম, আজ কেজিতে তার থেকে ৩০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। এক লাফে এত দাম বাড়ায় আমরাও অবাক।’
রামপুরার ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারও আমরা বয়লার মুরগির কেজি ১২০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এখন ১৫০ টাকার নিচে কেজি বিক্রি করা সম্ভব না। দু’দিনে পাইকারিতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকার উপরে।’
হঠাৎ ব্রয়লার মুরগির এমন দাম বাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনজুর মোরশেদ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘খুচরায় ব্রয়লার মুরগি কত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে তা আমি বলতে পারব না। এটা খুচরা ব্যবসায়ীদের বিষয়। তবে ফার্মে ব্রয়লার মুরগির কেজি ৯০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন ফার্মে মুরগির কিছুটা বেড়েছে। আগে ফার্মে বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা করে। এখন তা বেড়ে ৯০ টাকার মতো হয়েছে। এ হিসেবে কেজিতে বয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। চাহিদা ও সরবরাহের কারণে মুরগির এই দাম বেড়েছে।’
বয়লার মুরগি খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া স্বাভাবিক কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ফার্ম থেকে বিভিন্ন হাত ঘুরে মুরগি খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে যায়। তবে ফার্মে ৯০ টাকার উপরে কেজি বিক্রি হচ্ছে না। সেই মুরগির কেজি খুচরায় ১৬০ টাকা হওয়া আমি স্বাভাবিক মনে করি না। এটা অবশ্যই অস্বাভাবিক।’