আদালত মানেন না খালেদা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আইন মানেন না, আদালত মানেন না, আদালতের নির্দেশও মানবেন না, তিনি কোর্টে যাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, “সীমা লংঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। শিশু, নারী, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা থেকে শুরু করে কাউকেই আজ বেগম খালেদা জিয়া ছাড়ছেন না। মানুষকে পুড়িয়ে মারা আর মানুষ খুন করা, দেশের ক্ষতি করা, এটাই যেন জঙ্গিনেত্রী খালেদা জিয়ার কাজ এবং সেটাই তিনি করে যাচ্ছেন।”
শেখ হাসিনা বলেন, “এমন অবস্থা আজ বাংলাদেশে চলছে। বিএনপি এবং তাদের নেত্রী নিজেরাই আদালতের মর্যাদা লংঘন করছেন। এই যদি হয় অবস্থা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কেউই আর আদালতকে মানবেন না।”
তিনি বলেন, “জঙ্গি তৎপরতা যখন থেকে শুরু করেছে, তখন থেকে তা মোকাবেলা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা গত দুই মাস ধরে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষ এ জঙ্গি তৎপরতা পছন্দ করছেন না বলে পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিচ্ছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি না, বিএনপি নেত্রী কেন কোর্টে গেলেন না। তার নাকি নিরাপত্তার অভাব। এটা আমি তার আইনজীবীদের মাধ্যমে শুনেছি। সেখানে উনাকে নাকি যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে! প্রশ্ন হচ্ছে যিনি মানুষ খুন করছেন, মানুষ হত্যা করছেন, পেট্রলবোমা মারাচ্ছেন-তারই নিরাপত্তা দিতে হবে আমাকে, কি দুর্ভাগ্য! চিন্তা করে দেখেন। তারপরেও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তারপরও তিনি যান নাই।”
তিনি বলেন, “এখন বাস্তবতা হচ্ছে, আইনে যেটা আছে সে মোতাবেকই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আমার মনে হয়, যেহেতু তিনি মানুষ খুন করা, জঙ্গি তৎপরতার জন্য মানুষের কাছে ঘৃণ্য, মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেজন্য তিনি মানুষের সামনে বের হতে, মানুষের কাছে মুখ দেখাতেই ভয় পাচ্ছেন। কারণ মানুষের সাথে এতো দুর্ব্যবহার এবং মানুষ হত্যা করে এমন একটা পরিস্থিতিতে চলে গেছেন যে, নিজেকে তিনি নিজেই তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ চাইলেন, তখন পুলিশ দেয়া হলো। আবার যখন পুলিশ দেয়া হলো তখন বলা হলো-কেন পুলিশ দেয়া হলো, পুলিশ দিয়ে নাকি তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পুলিশ সরিয়ে নেয়া হলো, তখন আবার বলা হলো-পুলিশ কেন সরানো হলো, নিরাপত্তার অভাব। যাই করা হোক সেখানেই তারা একটা ‘কিন্তু’ খুঁজে বেড়ায়।”
তিনি বলেন, “বাস্তবতা হচ্ছে তিনি যেভাবে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছেন, ১৫ লাখ শিক্ষার্থী শান্তিতে পরীক্ষা দিতে পারছে না। এখন প্রতিটি কর্মদিবসে হরতাল দিয়ে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে বন্ধ করা পাঁয়তারা করছেন। এতে নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে। উনি যাদের হত্যা করেছেন-তারা এদেশের নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষ। তারাই যেন তার টার্গেট, তাদেরই তিনি খুন করে যাচ্ছেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ যে খুন করবে, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী খুনের যে বিচার সেই আইন অনুযায়ীই তার বিচার হবে। আর আইন আদালতকে যদি কেউ অবমাননা করে, এব্যাপারে কোর্ট যে নির্দেশনা দেবে, ব্যবস্থা নেবে, সে অনুযায়ী তার বিচার হবে এবং সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু গণহত্যা চালিয়ে, এ ধরনের জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়ে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, মানুষকে ভয় পাচ্ছেন, এখন হয়তো তিনি ভাবছেন যে কারাগারই হচ্ছে তার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। উনি বোধ হয়, নিজেই চাচ্ছেন-উনাকে গ্রেফতার করা হোক। আর উনার তো একটু এ ধরনের নাটক করার অভ্যাস আছেই। কারণ সেটা এরশাদ সাহেব ভালো জানেন, তিনি কিভাবে তাকে পূর্বাণী হোটেল থেকে বের করে এনেছিলেন। ‘নটঙ্গীপনা’ যাকে বলে, এ ধরনের একটা নটঙ্গীপনা করে তিনি বিদেশী প্রচার-প্রচারণায় যাতে আসতে পারেন এবং যাতে একটা ‘সিমপ্যাথি’ কুঁড়াতে পারেন সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। মনে হচ্ছে নিজেই যেন নিজেকে গ্রেফতার করে জনরোষ থেকে বাঁচা, আর অপরদিকে ওনার ওই নটঙ্গীপনা দেখিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকায় শিরোনাম হয়ে একটু ভাল পাবলিসিটি পাওয়া এটাই যেন ওনার শেষ ইচ্ছা হিসেবে পোষণ করছেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনি এখন জনবিচ্ছিন্ন, ওনার এখন একটু পাবলিসিটি চাই। আর ওই জনবিচ্ছিন্নতা থেকে বাঁচার জন্য তিনি এখন নাজিমউদ্দিন রোডকে বেছে নিয়েছেন। সেখানে যেতে পারলে বোধ হয় একটু নিরাপদ মনে করছেন। তবে আদালত যে নির্দেশ দেয় সেই নির্দেশ মোতাবেকই চলতে হবে। আমরা আদালত এবং আইনের শাসনকে সব সময় সম্মান করি। কারণ যেটা আইনের শাসন সেটাই হবে। আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা হবে।”
তিনি বলেন, “তিনি নিজেই নিজের অফিস রুমে বসে আছেন-সেখানে বিদেশীরা যাচ্ছেন, সবাই যাচ্ছেন। ওনার নেতাকর্মীরা যদি না যায়, ওনার জন্য কোন মানুষ যদি না দাঁড়ায়, কেউ যদি না আসে তাহলে আমাদের কি দোষ। কারণ তার এই ধরনের জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড কেউ পছন্দ করেন না। দেশের মানুষ সমর্থন করে না, এমনকি ওনার দলের নেতাকর্মীরাও পছন্দ করে না। ইতোমধ্যে ওনার দলের সাবেক এমপিসহ অনেকের সাথে কথা হয়েছে। কেউ ওনার এসমস্ত কর্মকাণ্ড পছন্দ করেন না। এটাই বাস্তবতা, কারণ বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়, এদেশের মানুষ নিরাপত্তা চায়।”
Original strip the other healthier and minutes EVER. LOVE apply fresh cialisresultgroup.com the the reddish greasy is through. If the uneven peel peroxide during.