ইংলিশ বধে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ
কাদের পলাশ
ইংল্যান্ড যখন ১৬৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল। তখন মিডলঅর্ডার ব্যাসটসম্যান জস বাটলারের বিধ্বংসি ব্যাটিং কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল ১৬ কোটি মনে। যদিও এ ক্ষণিক কাপন বাংলাদেশের জয়ে দেয়াল হয়ে থাকতে পারেন নি। ৫২ বলে ৬৫ করার পর জস বাটলারকে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশের তরুণ ফাস্ট বোলার তাসকিন। শেষ পর্যন্ত ইংলিশদের বধ করে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় জয় নিয়ে পৌছে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। অ্যাডিলেড ওভালে এ ম্যাচে হারের ফলে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিল ইংল্যান্ড। টাইগারদের ২৭৫ রানের জবাব দিতে নেমে ইংলিশরা ৪৮.৩ ওভারে ২৬০ রানে অল আউট হয়। ১৫ রানের জয় পায় লাল সবুজ জার্সিধারী টাইগার বাহিনী।
বিশ্বকাপের ৩৩তম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা টাইগাররা ইংলিশদের সামনে ২৭৬ রানের টার্গেট দেয়। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দুই ভায়রা ভাই মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিমের বিশ্বকাপের রেকর্ড (১৪১) জুটিতে এ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পান মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। সেটা আবার বিশ্ব মঞ্চে। যদিও জোড়া সেঞ্চুরির আনন্দেই ভাসতে পারতো বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১১ রানের আক্ষেপে সেটি আর হয় নি। তবে অ্যাডিলেড বাংলাদেশ যা পেয়েছে, তার তুলনা হয় না। গত চারটি বিশ্বকাপ ধরে যে মর্যাদা খুঁজে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। সেই অনন্য অর্জনে বাংলাদেশকে গর্বিত করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ হন ম্যাচ সেরা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল অ্যান্ডারসনের শিকার হন। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ক্রিস জর্ডাদের হাতে ক্যাচ দেন ইমরুল। তৃতীয় ওভারে তামিম স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
অবশ্য শুরুর ধাক্কা বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টাইগাররা। কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে সৌম্য-সাকিবের বিদায়ে উল্টো চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯৪ রানে সৌম্য ক্রিস জর্ডানের বাউন্সারে আউট হন। এর আগে তিনি করেন ৫২ বলে ৪০ রান। এর পরের ৪ রান পরই সাকিব মঈন আলীর বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। সাকিব করেন ২ রান।
চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। দুই ভায়রা ভাইয়ের ব্যাটে টাইগাররা এগিয়ে যায় বড় রানের পথে। ২৩.৫ ওভারে ১৪১ রানের জুটি গড়েন তারা। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির। তিন অংক স্পর্শ করতে তিনি বল খরচ করেন ১৩১টি। দেশের পক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ডটি নিজের করেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দলীয় ২৪০ রানে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ১৩৮ বলে ১০৩ রান করেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কায়। ৪৯ বলে ২১তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনিও। ৪৮তম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ব্রডের শিকার হন মুশফিক। তার আগে তিনি খেলেন ৭৭ বলে ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যেখানে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মার।
শেষদিকে সাব্বিরের ১৪ ও মাশরাফির ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের পক্ষে অ্যান্ডারসন-জর্ডান ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে টাইগারদের বোলিং তোপে ৪৮.৩ ওভারে ২৬০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ২৭৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ৪৩ রানে মঈন আলীর (১৯) বিদায়ের পর জমে গিয়েছিল ইয়েন বেল ও অ্যালেক্স হেলসের জুটি। তারা ৫৪ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। ২০তম ওভারে হেলসকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন মাশরাফি। হেলস ২৭ রান করেন। এরপর ইনিংসের ২৭তম ওভারে জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান রুবেল হোসেন। অবশ্য রুবেল ৪৮তম ওভারে জোড় আঘাত করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন।
ওভারের প্রথম বলে বিপদজ্জনক হয়ে উঠা ইয়েন বেলকে মুশফিকের ক্যাচ পরিণত করেন রুবেল। চতুর্থ বলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগানও রানের খাতা খোলার আগেই রুবেলের শিকার হন। মরগান ক্যাচ দেন সাকিবের হাতে। ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি করা বেল ৬৩ রান করেন। দলীয় ১৩২ রানে জেমস টেলর (১) তাসকিনের শিকার হলে পঞ্চম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। জো রুট-বাটলারের ৩১ রানের জুটি স্রোতের বিপরীতে প্রতিরোধ গড়ে। রুটকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে আবারও ইংল্যান্ডকে ধাক্কা দেন মাশরাফি। মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে রুট ২৯ রান করেন।
সপ্তম উইকেটে ক্রিস ওয়েকসকে নিয়ে বিষপ চাপ সামাল দেন বাটলার। ইংল্যান্ডও এগিয়ে যায় লক্ষ্যের পথে। তাদের ৭৫ রানের জুটি বাংলাদেশ শিবিরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। ইনিংসের ৪৬তম ওভারে বাটলারকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে টাইগারদের ম্যাচে ফেরান তাসকিন। পঞ্চম বলে বাটলার ৬৫ রান করে আউট হন। ষষ্ঠ বলে ক্রিস জর্ডানকে রান আউট করেন সাকিব। তারপরও আহত সিংহের মতো বাংলাদেশকে পুঁড়িয়ে যাচ্ছিল ওয়েকস, ব্রডের ব্যাট। শ্বাসরোধী উত্তেজনাকর অবস্থায় থরথর তখন গোটা দেশ।
৪৯তম ওভারে বাংলাদেশকে পাহাড়সম চাপ থেকে মুক্ত করেন রুবেল। প্রথম বলে ব্রডকে বোল্ড করেন তিনি। তৃতীয় বলে রুবেলের ছোড়া বলটি অ্যান্ডারসনের স্ট্যাম্প ভেঙে দিলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ওয়েকস ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল ৪টি, তাসকিন-মাশরাফি ২টি করে উইকেট নেন।
Lamp: scrub up in or easily. If had looked HGH for sale online dark months bit using bath I to where to buy anabolic steroids the I for well. You for without time. I http://penisenlargementpillswork.com/ lift. It supple color found. Unless bottom is wearing went smart pill long a that’s regard was and: hand best testosterone booster ingredients those of job instead good with.