যেকোনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান খালেদা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারেই হতে হবে এমন নয়, যেকোনো নামে একটি ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে মতবিনিময়ে এ দাবি জানান তিনি। খালেদা জিয়া
বলেন, “গত তিনটি সিটি নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে এমন নয়। যে নামেই হোক না কেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে।” খালেদা জিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ জানে ক্ষমতা থেকে গেলে তারা আর সহজে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সে জন্য তারা নির্বাচন দিতে চায় না। একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।” তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপিসহ সব দলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপিকে শেষ করা যাবে না। বিএনপির ‘রুট’ মানুষের মনে। খালেদা জিয়া সরকারকে হুঁশিয়ারি করে দেন, জোর করে র্যা ব-পুলিশ দিয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। জোর করে ক্ষমতায় থাকলে এর পরিণতি ভালো হয় না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বন্ধ। বিরোধী পক্ষকে মিটিং-মিছিল করতে দেয়া হচ্ছে না। দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এতে শুধু বিএনপি বা ২০ দলের নয়, সারা দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।