পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার আগে হুন্ডির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করে জঙ্গিরা। এ ছাড়া বিদেশ থেকে অস্ত্রের চালান ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসে।
এই টাকা বাংলাদেশের কেউ বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন, নাকি বাংলাদেশ থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পাঠানো হয়েছে, সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো ১৪ লাখ টাকা যে গ্রহণ করেছে, তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় রাজীব গান্ধী ওরফে প্রভাষ নামে আরো একজন জড়িত। সে দুই হামলার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। এই রাজীবসহ নুরুল ইসলাম মারজান ও বাশারুজ্জামান দেশের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছে বলে তাদের ধারণা।
এ ছাড়া হামলার পর খালিদ ও রিপন নামের দুই জঙ্গি ভারতে পালিয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। জিম্মি অবস্থা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে।
হামলায় জঙ্গিরা একে-২২ সেমি অটোমেটিক রাইফেল ও নাইন এমএম পিস্তলের পাশাপাশি হাতে তৈরি গ্রেনেড (আইইডি) ও ছুরি-চাপাতির মত ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গুলশান হামলার এক সপ্তাহের মাথায় ৭ জুলাই ঈদের দিন সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে ফের হামলা হয়। হামলায় নিরাপত্তার দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন; পরে পুলিশের অভিযানে গোলাগুলির মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়, নিহত হন এক সন্দেহভাজন হামলাকারী।
শোলাকিয়ার হামলাতেও পিস্তলের মত আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি গুলশানের মত একই ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলের কাছে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় চায়নিজ কুড়াল ও চাপাতি।