হাজীগঞ্জে নেশা খাইয়ে সর্বস্ব লুট, হাসপাতালে ১৫ জন
চাঁদপুর প্রতিনিধি
জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ছয় নম্বর বড়কুল ইউনিয়নের মোল্লাডহর গ্রামে ভাতের সাথে নেশা খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অচেতন অবস্থায় তিন পরিবারের ১৫ জন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। থানা পুলিশ এই ঘটনায় রুফিয়া বেগম (৩০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে মোল্লাডহর গ্রামের বেপারী বাড়ীর জয়নাল আবেদিন ও প্রবাসী নজরুল ইসলামের বসত ঘরে এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া একই রাতে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালাগাছা এলাকায় নেশা খাইয়ে আবদুল মজিদের পরিবারের সর্বস্ব লুটে নেয় অজ্ঞানপার্টির চক্রের সদস্যরা।
অচেতন হওয়া রোগীরা হলেন, মোল্লাডহর গ্রামের বেপারী বাড়ীর মোহছেনা বেগম (২৫), নুরজাহান বেগম (৬০), জয়নাল আবেদীন (৬০), শিল্পি (২৫), লিপি (১২), লিজা (১০), ইউছুফ (১৫), মিজান (১৮), হাবিব উল্লাহ (৫৮), ফাতেমা (২৫), খাদিজা (৪) ও মারিয়া (৫)। এছাড়া বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা এলাকার আবদুল মজিদ (৮৫), স্ত্রী সালমা খাতুন (৭৫) ও নাতি ফয়সাল (৮)।
কর্তব্যরত ডাক্তার পীযুষ সাহা জানায়, রবিবার সকাল থেকে একের পর এক অচেতন অবস্থায় ১৫ জন ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা এলাকার তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রেফার করা হয়। এদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাডহর গ্রামের দুই পরিবারের ১২ জনের মধ্যে ১০ জন ভর্তি রয়েছে। বাকী দুইজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
প্রবাসী নজরুলের স্ত্রী শিল্পি বেগম বলেন, সন্ধ্যা রাতে তাদের বাড়ীর দুদু মিয়ার মেয়ে রুফিয়া বেগম ঘরে প্রবেশ করে। ওইসময় ভাত খাবে বলে তরকারী ও ভাতের পাতিল দেখে নেয়। তারপর তারা সবাই ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে ঘরের সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। তিনি আরো বলেন, তাদের ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, ২ টি মোবাইল ও ১০ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়ে গেছে। জয়নালের পুত্রবধু ফাতেমা বেগম জানায়, তাদের বাসভবনের কেসি গেইট ভেঙ্গে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়ে গেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা (টিএসও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খাবারের সাথে নেশা
জাতীয় দ্রব্য মেশানো ছিল। অচেতন রোগীদের চিকিৎসা সেবা চলেছে।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুফিয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে।