ভিক্ষুক বৃদ্ধের গলাকেটে হত্যার চেষ্টা
শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥ চাঁদপুরে মাদকের ছোবলে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে ছিনতাই, রাহাজানি ও খুনখারাপিতে লিপ্ত হচ্ছে। তেমনি মাদকে আসক্ত হয়ে ফরক্কাবাদে হাবিব তালুকদার (২৫) নামে যুবক ভিক্ষুক বৃদ্ধার গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে। অবশেষে বৃদ্ধাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করানোর পর প্রাণে রক্ষা পান। ঘাতক মাদকাসক্ত হাবিব তালুকদারকে ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা আটক করে গণধোলাই দিয়ে হাত-পা বেধে ফরক্কাবাদ স্কুল মাঠে ফুটবলের ভারপোষ্টের বেধে রেখে পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে মডেল থানার ভারপ্র্প্তা কর্মকর্তা এনায়েত উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশে থানার এস.আই মাসুদ শামীম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাটত হাবিব তালুকদারকে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ফরক্কাবাদ সোহেল ডাক্তারের দোকানের সামনে ঘাটত হাবিব তালুকদার ভিক্ষুক তাজুল ইসলাম (৬০) কে একা পেয়ে ক্ষুর দিয়ে গলায় পোচ দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সরজমিনের
গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ রুহুল আমিন তালুকদারের ছেলে হাবিব তালুকদার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা বিক্রি চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকর্ম সংঘটিত করেছে। ঘটনার দিন বিকেলে বালিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মৃত আইয়ুব কারীর ছেলে তাজুল ইসলাম ফরক্কাবাদ বাজারে সোহেল ডাক্তারের দোকানের সামনে আসলে মাদাকসক্ত হাবিব তালুকদার তাকে হাতের ইশার দিয়ে ডাক দেয়। এসময় ভিক্ষুক তাজুল ইসলাম তার কথা না শুনায় ঘাতক হাবিব তালুকদার ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে, বৃদ্ধা তাজুল ইসলামকে মারধর করে রাস্তার ফেলে স্থানীয় বাজারের সেলুন থেকে ক্ষুর এনে তার গলায় পোচ দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। বৃদ্ধা তাজুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পরে মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে। প্রায় ৪০ মিনিট সে রক্তাত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকলেও ফরক্বাবাদ বাজারের কোন দোকানদার তাকে সহযোগীতা করেন নি। বালিকা গ্রামের কয়েকজন লোক খবর পেয়ে এসে দ্রুত মুনুর্ষ অবস্থায় তাজুল ইসলামকে সিএনজি স্কুটারে উঠিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে তাজুল ইসলাম মারা গেছে এ খবর শুনে ফরক্কাবাদের এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ঘাতক হাবিব তালুকদার কে এদিক সেদিক খোজাখুজি করতে থাকে। খবর পেয়ে চাঁদপুরের দুই সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজিত রায় নন্দীর বাড়ির সামনে থেকে ঘাতক হাবিব তালুকদারের দেখা পায়। এসময় সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘাতক হাবিব তালুকদার দ্রুত দেলোয়ার খানের বাড়ির ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এলাকা বাসী জানতে পেরে সেই বাড়ির ভেতর থেকে ঘাতক হাবিব তালুকদারকে বের করে এনে গণপিঠুনি দেয়। পরে হাত পা বেধে ফরক্কাবাদ স্কুল মাঠে এনে ফুটবল ভারের সাথে বেধে পিটাতে শুরু করে। এর কিছুক্ষন পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাবিব তালুকদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে প্রাথমিক
চিকিৎসা করানোর জন্য পুলিশ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। ফরক্কাবাদে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার করার চেষ্টা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা যায়। মাদক বিক্রেতা, মাদকাসক্ত, ডাকাত দলের হোতা, হাবিব তালুকদারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করে এলাকাবাসী মিছিল ও বিক্ষোভ করে। এই ঘটনার খবর পেয়েও ঘাতক হাবিবুর রহমানে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন আসেনি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক হাবিব তালুকদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। সেই বর্তমানে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।