চাঁদপুরে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ

 In দেশের ভেতর, প্রধান খবর, ব্যবসা বাণিজ্য



কাদের পলাশঃ

চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক প্লাবন ভূমিতে চলছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ। তুলনামুলক নীচু জমিতে কার্পজাতীয় মাছ চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হয়েছে অনেক যুবক। উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে অনেকেই। কর্র্তৃপক্ষ বলছে, প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষীদের সবসময় পরমর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

প্লাবন ভূমি বলতে সেসব জলাশায় কে বঝুায়, বর্ষা মৌসুমে পানি আসলে পরে তা শুকিয়ে যায়। অবশ্য কেউ কেউ কৃত্রিম উপায়ে পানি সংরক্ষণ করে রাখে। চাঁদপুর এ প্লাবন ভূমির দিক থেকে অনেক সমৃদ্ধ। তুলনামুলক নিচু এলাকার জমিতে ফসল না হওয়ায় লিজ দেয় জমির মালিক পক্ষ। বিনিময়ে তারা লাভবান হচ্ছে। কারণ বর্ষা মৌসুমে ওসব জমিতে ফসল ভালো হয় না। এছাড়া বোরো মৌসুমেও তারা ধানের সাথে মাছ তথা মিশ্র চাষ করতে পারে। তবে ইজারাদারদের শর্ত থাকে

ধান চাষ হলে টাকা দেয়া হয় না।

চাঁদপুুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সায়েদ মিয়া, শরীফ উল্লাহসহ আরো করেয়কজন কৃষক জানান, বর্ষা অতিরিক্ত পানির কারণে ধান চাষ ঠিক ভাবে করা যায় না। তাই লিজ দিয়ে দেই। প্রতি শতাংশ জমি ইজারা দিলে প্রায় ৪শ টাকার মতো পাওয়া যায়।

অবশ্য যারা এসব প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ করতে তারা প্রচুর লাভবান হচ্ছে। এ লাভের অংশ কোনো ব্যক্তিবিশেষ পায় না। এর সাথে অনেকই সম্পৃক্ত অনেকেই এ লভ্যাংশ পায়। বিশেষ করে যারা জমির মালিক, মাছ ধরে, তত্ত্বাবধান যারা করে তারাও এ লাভের অংশ পায়। কয়েকটি প্লাবন ভূমি আছে যেখানে প্রায় কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে এসব প্লাবন ভূমিকে সনাক্ত করা হয়েছে। প্লাবন ভূমিকে মাছ চাষের উপযোগী করার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫১টি প্লাবন ভূমি সনাক্ত করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এগুলোতে মাছ চাষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চাষীদের মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের কারিগরি সহায়তা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Recent Posts

Leave a Comment