চাঁদপুরে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা: সালিশি বৈঠকে ৫০ হাজার টাকা রফাদফা
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে এক লম্পট। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সালিশি বৈঠকে ৫০ হাজার টাকায় রফদফা হয়। যদিও শিশুটির পরিবার হাতে পেয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের ঢালি বাড়িতে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সোহাগ ঘটনাস্থলে গেলেও লম্পট হাবিবকে না ধরেই তার শুভাকাঙ্খিদের সাথে কথা বলে চলে আসেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত লম্পট হাবিবুর রহমান মাঝি (৫০) আতœগোপনে চলে গেছে। তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। হাবিব পূর্বে মাছ ধরার পেশায় লিপ্ত থাকলেও বর্তমানে ঐ এলাকা তার বড় ভাই মঞ্জু মাঝির নবনির্মিত বাড়ির কাজের দেখভাল করছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে ওই শিশু কন্যাকে পেয়ারা দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে হাবিব নবনির্মিত ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে সে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে শিশুর মা ও মামানিসহ বেশ কয়েকজন লম্পট হাবিবকে আটক করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত মনু গাজী, হারুণ মোল্লা, শাখাওয়াত পাটওয়ারী, ওমর ফারুকসহ আরো কয়েকজন ঘটনার সমাধান করে দেবে বলে শিশুর পরিবারকে আশ্বস্ত করে। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য তারা বলেন। পরে ঐ দিন বিকেলে সালিশি বৈঠকে লম্পট হাবিবুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে একটি সমঝোতা পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় পঞ্চায়েতরা। অথচ ঐ দিন সন্ধ্যার পর ভিকটিম শিশুটির পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা পৌছে দেয়া হয়।
শিশুর মা মালেকা বেগম বলেন, আমরা চাপে পড়ে সমঝোতা কাগজে স্বাক্ষর করেছি। ভয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করতে যাইনি। কারণ ঘটনার পরপরই আমাদের উপর চাপ আসা শুরু হয়। ওর বিচার আল্লাহই করবো। আমরা আর কী করতে পারবো।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালী উল্লাহ অলি জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবো।