চকরিয়ার ৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

 In বিশেষ প্রতিবেদন

প্রতিবেদক।। চকরিয়া উপজেলায় ১৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। এ ছাড়া এসব বিদ্যালয়ে ৪৬টি সহকারী শিক্ষকের পদেও কোনো শিক্ষক নেই। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় শিক্ষক–সংকট দীর্ঘদিনের। এই সংকট দূর করতে অনেক লেখালেখি হয়েছে। বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে শিক্ষক–সংকট দূর হলেও কিছু বিদ্যালয়ে এখনো এই সংকট রয়ে গেছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আবদুর রাজ্জাক বলেন, চকরিয়া উপজেলায় ১৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ১৩০টি প্রধান শিক্ষকের পদ ছাড়াও ৭৭০টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি আছে। ওই বিদ্যালয়গুলোতে ৪৬টি সহকারী শিক্ষকের পদেও কোনো শিক্ষক কর্মরত নেই।

চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খুরশীদ আলম চৌধুরী পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন। দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদের  বলেন, উপজেলার দুর্গম এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকেরা থাকতে চান না। নাজুক যোগাযোগব্যবস্থার কারণে তাঁরা ‘তদবির’ করে বদলি হয়ে চলে যান। তিনি আরও বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক দরকার, সেই সব বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে ৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান  বলেন, কিছু কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। তবে তা সাময়িক। কয়েক মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে। ওই সময় শূন্য পদগুলো পূরণ হয়ে যাবে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষক–সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ডেইঙ্গাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে উপস্থিত শিক্ষকেরা জানান, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী অবসরে গেছেন ২০১১ সালের শেষের দিকে। সেই থেকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি। বিদ্যালয়ে ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। চারজন শিক্ষকের একজন গত জানুয়ারিতে দেড় বছরের প্রশিক্ষণে গেছেন। বর্তমানে তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা রিনা আকতার প্রায় সময় দাপ্তরিক কাজে বিদ্যালয়ের বাইরে থাকেন।

কে বলেন, ‘তিনজন শিক্ষক দিয়ে প্রাক্‌– প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির ৩০০ জন ছাত্রছাত্রীর পড়ালেখা চলছে। আমি দাপ্তরিক কাজে উপজেলা সদরে গেলে বা কোনো শিক্ষক ছুটিতে থাকলে একটি ক্লাস খালি থাকে। এমনটি প্রায় সময়ই হয়।’

বমু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ২০১২ সাল থেকে। ওই বিদ্যালয়ের তদারকির দায়িত্বে (ক্লাস্টার) থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ ধর বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন দুজন। শিক্ষা কার্যক্রম ঠিক রাখতে অন্য বিদ্যালয় থেকে আরও দুজন শিক্ষককে প্রেষণে দেওয়া হয়েছে। চারজন দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এরপরও ওই বিদ্যালয়ে একজন প্রধান শিক্ষক খুব দরকার

Recent Posts

Leave a Comment