ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিব বেগ মনে করেন, প্লেয়ারটা মাশরাফি, আর কেউ না। তার প্রতি এমন নিখাদ ভালোবাসাটাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার মানে হয় না। সিকিউরিটি এখন বাহাদুরী দেখাচ্ছে… যখন মাঠে ঢুকছে তখন কি করছিল…
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অধ্যয়নরত নেত্রকোনার মেয়ে ইরফানা তুষির ভাবনা, আমরা সবাই মাশরাফির ভক্ত। মাঠে গিয়ে সেটা প্রকাশ করার কোনো প্রয়োজন নাই।
ফুটবল খেলাতে যখন এগুলো অহরহ হয় ক্রিকেটে হলে সমস্যা কি? সুতরাং এগুলো ভালোবাসার পরিচয়, বলেছেন কুষ্টিয়া থেকে খাইরুজ্জামান সেতু।
আরবান প্লানিং ডিজাইন ও আর্কিটেক্ট এর সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রিমিন হোসেন সনির মতে, ব্যাপারটা হচ্ছে, বিবিসি দেখলাম নিউজ করেছে, শিরোনামে লিখেছে ক্রিকেট মাঠে আবারো আতঙ্ক! তারা বাংলাদেশের মাঠ বলে এমন শিরোনাম, ব্যাপারটা যদি ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ায় হইতো, তারা নিউজ করতো মরগ্যান, পন্টিংকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন মাঠের মধ্যে ঢুকে।
আড়ং এ চাকরিরত সুশীল দেবনাথের মন্তব্য, মাশরাফিকে মাঠের ভেতর জড়িয়ে ধরা এটা অবশ্যই ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। এই ভক্তকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি করছি।
নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন আনন্দমোহন কলেজে অধ্যয়নরত সোনিয়া মাহবুব।
ময়মনসিংহ থেকে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সত্যি তাই, আর কিছুই মনে হয়নি।
মাশরাফিকে মাঠের ভেতর জড়িয়ে ধরা অবশ্যই ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ও অতি উচ্ছ্বাস। এই জড়িয়ে ধরাটাকে কেবল সাদামাটা হিসেবে দেখার সুযোগ কম। কারণ এভাবে একজন দর্শকের মাঠে প্রবেশ-আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আন্তর্জাতিক খেলার ভেন্যু হিসেবে এই ঘটনাটা আমাদের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। হয়ত তাৎক্ষণিক এটিকে নেহায়েত ভালবাসা হিসেবে দেখলেও এই ঘটনার সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে বলে মনে করেন দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী প্রফেসর সীমান্ত শাহজাহান