শৈশবের নেবুতলায় যে শিখেছে জীবনের স্বরগ্রাম
শ্বাস টানলেই পেয়ে যাই দু’টি কচি লেবুর ঘ্রান
বুননের ফাঁকে ফাঁকে আবৃত্তি করি তন্ময় অতীত
তখন স্যাকসাফোনের সুরে বেড়ে ওঠে অতি মানবীয় ভাস্কর্য
ভাই সকল ওর লগে মোর বুকঝিম ভালোবাসা
কেননা ভাইসকল-
‘একদা একটি দেশ ছিল বাংলাদেশ নামে, সেই দেশে
মালা রূপান্তরিত হয় শেকলে এবং পিতা পরিণত
হয় কৃতদাসে-ইতিহাসের প্রতিটি পাতায়
রাজাকার তার নাম লেখে এবং সেলাই করে দেয়া
হয় দেশ প্রেমিকের চোখের পল্লব।’
এ দেশের জন্য একদা আমার ছিলো বাজারসুন্দরী
এখনো রাজধানীর গলিঘুপছি অন্ধকারে, কখনো
নিদ্রাঘোরে ও ওঠে আসে অন্তহীন আশ্চর্য বিষাদে!
আমার মগজের কোষ থেকে পলায়নপর-
সারসের মত উড়ে যায় আমার সস্তা বোধিস্বত্বা
ক্রুশবিদ্ধ এই আমি মরে যাই কেশাগ্র অবধি।
সুন্দরীর খটখটে ঠোঁট একজোড়া রসহীন লেবু আমাকে
মরতে দেয় না, জেগে উঠি ফের একবিংশ শতকের যিশু
কড়িকাঠে ঝুলন্ত আমি শুনতে পাই-
ক্যান আমি মিলিটারি মারতে জানিনা? মারি নাই?
আমিও যুদ্ধে যামু বিচ্ছু। চলো আবার যুদ্ধে যামু।