ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের উদযাপন-কেন্দ্রিক ঘটনা নিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমার চোখে এটা সাধারণ একটি উদযাপন ছিল। আমরা কোনো ভুল করিনি। সুতরাং দুঃখ প্রকাশেরও কিছু নেই। ক্রিকেট জেন্টেলম্যান্ট গেম। আমরা মাঠের খেলাতেই মনোযোগ দিচ্ছি।’
খেলার গুরুত্ব বিবেচনায় উইকেট শিকারের পর নানা মাত্রার উদযাপন হয়ে থাকে। রোববারের ম্যাচে বাটলার যখন ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরাচ্ছিলেন, তখন তার উইকেট তুলে নেওয়ার পর খানিকটা অন্য মাত্রার উদযাপন তাই স্বাভাবিকই ছিল। মাশরাফিও সেভাবেই ভাবছেন, ‘আসলে উইকেট শিকারের পর প্রত্যেক খেলায়ই এমন উদযাপন হয়ে থাকে। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় সেসময় এমন ধরনের উদযাপন সাধারণ ছিল। কিন্তু ম্যাচ রেফারির হয়তো মনে হয়েছে উদযাপনটা কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙেছে, সেজন্য আমাদের দুজনকে জরিমানা করেছেন।’
এর আগে রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিন আহমেদের করা ২৮তম ওভারে জস বাটলারের বিপক্ষে করা লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে আউট হন বাটলার। এসময় উল্লাসে মেতে ওঠেন মাশরাফি-সাব্বিররা। কিন্ত সেটা পছন্দ হয়নি ইংলিশ অধিনায়কের। এনিয়ে সফরকারী দলের অধিনায়কের উত্ত্যপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে।
ঘটনার জেরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানকে ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। অন্যদিকে অখেলোয়াড়সূলভ আচরণ করা সত্ত্বেও শুধু তিরস্কারে পার পেয়ে যান ইংলিশ দলনায়ক জস বাটলার।