ব্যাপারটা বুঝতে অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছে টিম আব্রাহাম নামের সেই সাংবাদিকের। লন্ডন থেকে লাইভ দেয়ার তাড়া দিতে দিতেই ড্রেস বদলে দাঁত খুঁজতে বসেন। বুঝতে পারেন তার সেই নকল দাঁত লাপাত্তা। হন্যে হয়ে নিজের ডেস্কে খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে চিৎকার করে উঠেন তিনি। ডাক পড়ে ক্লিনারের। রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যায়!
সবাই খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আব্রাহামের অসহায় চেহারা দেখে এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরা খুঁজতে শুরু করেন। অনেক খোজাখুজির পর ডাস্টবিনের ময়লার মধ্যে দেখা মেলে তার সেই নকল দাঁত। স্কাই নিউজের রিপোর্টারের হাসি দেখে হেসে উঠেন গোটা প্রেসবক্সের সাংবাদিকরা। যা দারুণ হাস্যরসের জন্ম দেয়।
নিউএইজ পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক আজাদ মজুমদার এনিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আসিফ ভাইয়ের (আসিফ ইকবাল, ক্রীড়া সাংবাদিক) অসুস্থতায় দুপুর থেকেই প্রেসবক্স বিষণ্ণ। হঠাৎ সেখানে ব্যাপক তালি এবং হাসি তামাশা। স্কাই টিভির রিপোর্টার টিম আব্রাহাম তার নকল দাঁত হারিয়েছেন, এই দাঁত খুজে না পেলে তিনি পিটিসি দিতে পারবেন না। সোজা কথায়, তার ট্যুর শেষ।
অতএব দাঁতের সন্ধানে নেমে পড়লো প্রেসবক্সের সব পরিচ্ছন্নতা কর্মী। ডাস্টবিন, টয়লেট সব খানে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হলো নকল দাঁত। অবশেষে এক ক্লিনার তা খুঁজে পেলেন এক ডাস্টবিনে।
মাঠে বাংলাদেশের ভাগ্যে যাই থাকুক, মনে হচ্ছে এই ক্লিনারের কপাল খুলে গেছে, আব্রাহাম যে দাঁত খুজে পাওয়ার পর পরই তার নাম ঠিকানা লিখে নিয়েছেন।