শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ অযোগ্য ঠিকাদারকে সোয়া কোটি টাকার কাজ দেয়ার অভিযোগ
চাঁদপুরে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগে অযোগ্য ঠিকাদারকে এক কোটি ২১ লাখ টাকার কাজ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ১৪ জুন ২০১৬ তারিখে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ ৮% লেস দিয়ে কাজ পায় মেসার্স এসপি এন্টারপ্রাইজ। অথচ এতো বড় কাজের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা এ প্রতিষ্ঠানটির নেই বলে লট নম্বর-৫-এর পুনঃ মূল্যায়নের জন্যে আবেদন করে মেসার্স আল-আমিন ট্রেডার্স নামে অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবেদনপত্র গ্রহণ করেন। আবেদনের অনুলিপি চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি, সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবরেও পাঠানো হয়।
জানা যায়, দরপত্র নং-১৯/এনজিসি(ভিইআর)/এঙ্ইএন/ইইডি/সিএইচএএনডি জেডওএনই/২০১৫-২০১৬/৭৭১, লট নম্বর-৫-এর টেন্ডার হয় গত ১৪ জুন ২০১৬ তারিখে। টেন্ডারে মেসার্স এসপি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আল-আমিন ট্রেডার্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে মেসার্স এসপি এন্টারপ্রাইজের কাগজপত্র যাচাই বাছাই না করে ১৯/এনজিসি(ভিইআর)/এঙ্ইএন/ইইডি লট নম্বর-৫-এর কাজ দেয়ার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করে। ইতোমধ্যে কাজের অনুমতিপত্রও প্রস্তুত হয়ে গেছে। অথচ এসপি এন্টারপ্রাইজের সিমিলার ওয়ার্ক ও টার্ণ ওভার সঠিক নয়। এ ব্যাপারে প্রকৃত ঠিকাদারদের স্বার্থে মেসার্স আল-আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ ইমাম হোসাইন লট নম্বর-৫-এর পুনঃ মূল্যায়নের জন্যে আবেদন করে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসপি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সোহাগ পাটাওয়ারী জানান, আমার কাগজপত্র সব ঠিক আছে। কেউ হয়তো উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে এ অভিযোগ দিয়েছে। আমি এখন ওয়ার্ক পারমিটের অপেক্ষায় আছি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানান, প্রায় টেন্ডারেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় শিক্ষা প্রকৌশলী আনিসুর রহমানসহ তারা সহকারীরা। তাকে যে প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ টাকা দেবে সে প্রতিষ্ঠানকেই কাজ পাইয়ে দেয়ার সু ব্যবস্থা করেন তিনি। তাই বাধ্য হয়েই তিনি অনেক অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেন। আর এ কারণে অনেক প্রকৃত ঠিকাদার কাজ পায় না। শিক্ষা প্রকৌশলের বিভিন্ন কাজের মান অনেক নিন্ম মানের হয়ে থাকে অভিযোগ প্রকৃত ঠিকাদারদের।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানের বরাত দিয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্বপন কুমার সাহা জানান, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়। আমরা আবেদন পেয়েছি। এ ব্যাপারে আর কোনো তথ্য বা কথা বলা সম্ভব নয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজিবুরর রহমান মুঠোফোনে জানান, এ দরপত্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ মুহূর্তে কোনো ব্যবস্থা নেয়া দূরূহ ব্যাপার। তবে আমি চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌলশীর সাথে আলাপ করে বিষয়টি জানবো।