তিনি কষ্ট ফেরি করেন। যার কাছে রয়েছে হরেক রকম কষ্ট। আসলেই কী কষ্ট? নাকি তিনি ফেরি করেন এক বুক ভালোবাসা? আশ্চর্য রকম সব কবিতা তার। বাংলা কবিতার ইতিহাসে হেলাল হাফিজ তাই ভালোবাসা এবং কবিতার আশ্চর্য এক ফেরিওয়ালা।
অনেকে আবার নির্জন কবি বলেও ডাকেন তাকে। কী এক বেদনাবোধে ঘর ছেড়েছেন বহুবছর আগেই, সেই থেকেই তার হোটেল জীবন শুরু। কবিতার সংসারে নিমজ্জিত হতে গিয়ে ফিরে এসেছেন বারবার।
হেলাল হাফিজ এই শহরে, যন্ত্রণার শহরে এক সন্তমানুষ। সাধুকবি। ‘লোভ’ আর ‘খুন’ এর শহরে তিনি এখনো লোভহীন মানুষ-একা। এখনো তার কাছে শেষকথা জানতে চাইলে উজ্জ্বল হেসে বলেন, ‘প্রেম প্রেম এবং প্রেম’।
এক জীবনে বেশিরভাগ মানুষ জমায় টাকা অথচ যৌবনেই হেলাল হাফিজ কবিতায় মানুষ জমানোর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। ৬৮ বছর বয়সে আজ তাই মানুষের ভালোবাসাই তার শেষ সম্বল। বহুদিন হলো ভালো নেই তিনি, শরীরে বাসা বেধেছে নানা ধরনের অসুখ। কিছুদিন আগেই ডাক্তার জানিয়েছেন একটি চোখ চিরতরেই বুঝি হারালেন কবি।
প্রেমের কবি ধীরে ধীরে সৌন্দর্য দেখা ভুলে গেলে এ শহরের প্রেমও যেন বধির হয়ে যাবে। ৬৮ তম জন্মদিনে কবিকে নিরন্তর শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন কবি।