বন্যার পানির চাপে ভাঙছে চরের ঘর!

 In চাঁদপুর, প্রধান খবর

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ

দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পানির চাপে চাঁদপুরের মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকা রাজরাজেশ্বর লক্ষ্মীপুর, ইব্রাহীমপুর, হানারচর, নীলকমল ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে নদীতে বিলীন হয়েছে অর্ধশতাধিক বসতভিটা। অবশ্য সবচে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪নম্বর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে অবস্থতি লগ্গিমারা আশ্রয়ন কেন্দ্রটি। ইতোমধ্যে ভাঙন আতঙ্কে অনেকই তাদেও বাসস্থান ও বিভিন্ন মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক বসতভিটা হারানো মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, পদ্মা-মেঘনার প্রবল ¯্রােতে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে গোয়ল নগর, চোকদার কান্দি, ৬নং ওয়ার্ডের লগ্গিমারা চরের বেপারী কান্দি ও বালিয়ার চরের দেওয়ান কান্দি গ্রাম ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। আর গ্রামের বাকি বাসীন্দারা তাদের টিনের তৈরী ঘরগুলো নিজেরাই সরিয়ে নিচ্ছে।
বেপারী কান্দির নদীতে বিলিন হওয়া হাজি কুদ্দুস আলী বেপারী জামে মসজিদের ইমাম মাও. আল-আমিন জানান, রাত ১২টার পর থেকে ভাঙন বাড়তে থাকে। মর্হূতেই মসজিদটি নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরেই উজানের নেমে আসা পানির ¯্রােতে এই দুটি নদী উত্তাল হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকই তাদের ঘর সরিয়ে নিয়েছে। যদিও ইতোমধ্যেই ইউনিয়নের ৪ গ্রামের অর্ধশতাধিক ভসতবিটা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে আসায় পদ্ম-মেঘনায় পানির ¯্রােত বেড়ে গেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা এখানকার মানুষদের শুকনো খাবার ও ঔষধ বিতরণ করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এদের সকলকেই সহায়তা প্রদান করা হবে।

Recent Posts

Leave a Comment