‘রায় কে লিখেছে জানি, তবে বলব না

 In প্রধান খবর, লিড নিউজ

চাঁদনিউজ রিপোর্ট:

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় কে লিখেছে তা জানেন বলে দাবি করলেও কারও নাম উল্লেখ করেননি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী।

শনিবার এই রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গণমাধ্যমের সামনে আসেন প্রবীণ এ নেতা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ১২ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যও পড়ে শোনান।

এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে জবাব দিতে রাজি হন।

প্রথমেই একজন সাংবাদিক বিতরণ করা লিখিত বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকীর নাম না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি লতিফ সিদ্দিকীই তো এটি বসে পড়লাম। এর বাইরে এতবছর আমাকে কোথাও কোনো দস্তখত দিতে হয়নি। এভাবেই চলে আসছে, এটি ভুল হলে ক্ষমা করবেন।

পরে তিনি কোন পরিচয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে।

লিখিত বক্তব্যে পাকিস্তানে এই ধরনের রায় ক্যান্টনমেন্টের ইশারায় লেখা হয় বলে মন্তব্য করেন এই নেতা। বাংলাদেশে আলোচিত রায়টি তাহলে কিভাবে লেখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি কে লিখেছে সেটি আমি জানি, কিন্তু বলবো না।

প্রধান বিচারপতি রায়টি লেখেননি- এমন কিনা জানতে চাইলে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি তাও বলবো না।

এ বিষয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি পাশে থাকা স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীর হাত ধরে বলেন, আমি উনাকে নিয়ে আসছি, দেখুক কি বলি। আপনাদের সামনে বললে তো আমার শাস্তি হবে না। যেখানে বলতে হবে, আমি সেখানে গিয়ে বলতেও প্রস্তুত।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে আদালতের রায়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়েও প্রশ্ন ওঠার আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সংসদ অকার্যকর হলে রাষ্ট্র পরিচালন চলে কী করে? বৈধ-অবৈধ প্রশ্ন উঠলে প্রশ্ন ওঠবে স্বাধীনতা যুদ্ধে কার কী ভূমিকা। তা বৈধ না অবৈধ? সংসদ অকার্যকর, পরের ধাপে কি দেশ অকার্যকর? তার পরের ধাপেই যুদ্ধ-‘৭১ বিভ্রান্তি।

এই রায়ের পিছনে চীন-ভারতের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাকে টেনে এনে এই নেতা বলেন, ব্যাপারটা অবশেষে জমে উঠেছে। এই সুযোগে সবারই মুখোশ খসে যাবে। মনন ও চিন্তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। আপোষ করে, ছাড় দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ চালাতে পারবেন না। তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে শোষিতের পক্ষে অবস্থান নিবেন, নাকি শোষক পক্ষে হেলে পড়বেন।

রায়ে ‘অনাকাংখিত মন্তব্য প্রয়োজন ছিল কিনা’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ শিক্ষায় পেছানো। এদেশে সাংসদরা অদক্ষ, আইন প্রণয়নে অক্ষম বলে অমনোযোগী, পরিপক্বতার অভাব, কারো কারো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার ঘটনা ঘটতেই পারে। কারণ তারা তো চাঁদের দেশের না, তাহলে তারা দেশের সামগ্রিক অবস্থার ব্যতিক্রম কিভাবে হবে?

Recent Posts

Leave a Comment