কোটা পদ্ধতি বাতিল, নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের নির্দেশ

 In পড়া লেখা, প্রধান খবর

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীদের জাতীয় মেধাতালিকা প্রণয়ন করে তা থেকে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা-উপজেলা কোটা পদ্ধতি বাতিলেরও রায় দেওয়া হয়েছে।

এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পতি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম, এ বি এম আলতাফ হোসেন, হুমায়ুন কবির, ইশরাত হাসান, সাহাবুদ্দীন খান লার্জ প্রমুখ। শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কাজী মাঈনুল হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

পরে আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির ও ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের জানান, ২০ হাজারের বেশি নিবন্ধন সনদধারী বিভিন্ন সময়ে প্রায় দুই শতাধিক রিট করেছিলেন। এরপর আদালত রুল জারি করেছিলেন। গতকাল বুধবার এসব রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। আজ রুল নিষ্পত্তি করে আদালত এই রায় দিলেন।

রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত। এগুলো মধ্যে অন্যতম হলো- নিবন্ধন সনদের নির্ধারিত মেয়াদ ৩ বছর বাতিল করে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত করা, জেলা-উপজেলা কোটা পদ্ধতি বাতিল করে রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মেধাতালিকা প্রণয়ন করে রিটকারীদের পর্যায়ক্রমে নিয়োগ প্রদান, মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও দৃশ্যমান করা, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ না দিলে ম্যানেজিং কমিটি বাতিল, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করা, নিবন্ধন সনদধারীদের শুধু একটি জাতীয় মেধাতালিকা করা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, নিবন্ধন সনদধারী রাজশাহীর আরিফুল ইসলামসহ ১১২ জন নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর এবং জেলা ও উপজেলাভিত্তিক মেধা তালিকা পদ্ধতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছর রিট দায়ের করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে কয়েক হাজার ব্যক্তি পৃথক রিট করলে রুল হয়। পৃথক ১৬৬টি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একসঙ্গে শুনানি হয়। আর আজ আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করে রায় দেওয়া হলো।

Recent Posts

Leave a Comment