প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে নয়, ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছি : এএইচএম আহসান উল্লাহ

 In চাঁদপুর, দেশের ভেতর, প্রধান খবর

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
‘চাঁদপুর প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে এই প্রথম মামলা দায়ের’ এ কথা উল্লেখ করে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের কয়েকটি পত্রিকায় প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত নিন্দা ও প্রতিবাদের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ওই নিন্দা ও প্রতিবাদটি পড়ে বিস্মিত হয়েছি। কারণ, আমি মামলা করেছি যে দু’জনের স্বাক্ষরে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে (অর্থাৎ সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্র ধর) তাদের বিরুদ্ধে, এটি কোনোভাবেই প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে মামলা নয়। আহসান উল্লাহ বলেন, আমি কোন্ পরিস্থিতিতে এবং কী কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি তা মামলার বিবরণে উল্লেখ করেছি। যা গত বুধবার চাঁদপুরের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত মামলা সংক্রান্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়। আহসান উল্লাহ বলেন, আমাকে যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয় সে নোটিস দেয়াটাই যে ছিলো প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কাজ, সেটিই আমি গঠনতন্ত্রের ধারা উল্লেখ করে অবৈধ শোকজ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে স্বাক্ষরদাতা দু’জনের বরাবরে একটি পত্র দেই। সে পত্রের কোথাও প্রেসক্লাব সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে কোনো ধরনের অসৌজন্যমূলক ভাষা প্রয়োগ করা হয়নি। আহসান উল্লাহ বলেন, ওই নিন্দা ও প্রতিবাদে যে উল্লেখ করা হয়েছে ‘এএইচএম আহসান উল্লাহ প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই এবং তার বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সত্ত্বেও প্রেসক্লাব সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন’- এই কথাটি চরম মিথ্যাচার ও প্রতারণামূলক। কেননা তাদের দু’জনের স্বাক্ষরে প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিসেই উল্লেখ করা হয়েছে ‘সভায় আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে এ বিষয়ে আপনার কাছ থেকে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ এখানে তো স্পষ্টই উল্লেখ রয়েছে যে, আমার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের অংশ হিসেবে এই কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করা হয়। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে-আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের অংশ হিসেবে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদানের এখতিয়ার বা বৈধতা তাঁদের আছে কি না। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁরা এটা পারেন না। তাঁরা গঠনতন্ত্রের যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৫-এর ‘গ’ ধারার সুস্পষ্ট লংঘন করেছেন এবং অনুচ্ছেদ-১৬ (ঙ) ধারার সাথে গোঁজামিল দিতে চেয়েছেন। এ অপপ্রয়াসেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। সেজন্যে আমি ওই অবৈধ কারণ দর্শানোর নোটিস প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে তাঁদেরকে ২৭/০৪/২০১৮ তারিখে চিঠি দেই। আমি আমার ওই চিঠির জবাবের সময়সীমার পরও কয়েকদিন অপেক্ষা করি। তাতেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় আমি তাঁদেরকে লিগ্যাল নোটিস দেই, যা গত ৩/৫/২০১৮ তারিখে তারা তা গ্রহণ করেন। এই লিগ্যাল নোটিসের সময়সীমাও পার হয়ে যায়। তাতেও তাঁদের কোনো সাড়া মিলেনি। এই লিগ্যাল নোটিসের সময়সীমা পার হওয়ার পর আরো এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলে আমি প্রতিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই। আর এটি এখন সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারের উপর।
কারণ দর্শানোর নোটিস প্রসঙ্গে আহসান উল্লাহ বলেন, এটি পড়ে আমি আসলে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম, এটি কি কোনো শোকজ নাকি আমার বিরুদ্ধে কোনো রায়। জীবনে এই প্রথম কোনো শোকজ দেখলাম যেখানে কোনো অভিযোগকারীর নাম নেই। আর শোকজের ভাষা যদি হয় ‘অমার্জনীয়’ তাহলে কি আর এটি শোকজের পর্যায়ে থাকে? আসলে সভাপতি এবং তাঁর শলাপরামর্শদাতারা চেয়েছেন সম্পূর্ণ ব্যক্তিআক্রোশমূলক আমার উপর প্রতিশোধ নিতে এবং আমাকে হেয় করতে। কারণ দর্শানোর নোটিসের মাধ্যমে তারা সেটিই করেছেন। আর নোটিসের ভাষাও ছিলো আমার জন্যে অমর্যাদা এবং মানহানিকর। আসলে প্রেসক্লাবে অনেকদিন যাবৎ চলে আসা কিছু সদস্যের চরম স্বেচ্ছাচারিতা এবং কখনো কখনো পেশী শক্তি প্রদর্শনের অপচেষ্টার প্রতিবাদ করায় তারা (কুচক্রীরা) আমার উপর ক্ষেপেছেন। যার বহিঃপ্রকাশ আমাকে একতরফাভাবে শোকজ করা। প্রেসক্লাব সভাপতির উদ্দেশ্যে সর্বশেষ বলবো, একটি প্রশ্নবিদ্ধ অভিষেক অনুষ্ঠান করে এবং অভিষেকের ক্রোড়পত্রে জেলা প্রশাসকের বাণী নিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে চাঁদপুর প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক সমাজকে যে লজ্জায় ডুবিয়েছেন এবং চরমভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন, এটি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ইতিহাসে এই প্রথম।

Recent Posts

Leave a Comment