সকলের সমন্বয়ে চাঁদপুর জাতীয় পার্টিকে রাহুমুক্ত করবো; আলহাজ সিরাজুল ইসলাম মিজি
চাঁদপুর পৌর ২নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুরাণ বাজার নতুন রাস্তায় কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ সিরাজুল ইসলাম সিরু মিজি।
তিনি তার বক্তব্য বলেন, যারা সবসময় কর্মীদের খোঁজ-খবর রাখেন এরকম নেতা জেলা জাতীয় পার্টিতে চাই। আমারা কিছু পাওয়া ও চাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। আমাদের জাতীয় পার্টিতে কিছু কুচক্রী লোক প্রবেশ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এমরান হোসেন মিয়া চাঁদপুরের কিছু না। আমরা চাঁদপুরের রাজনীতি করবো চাঁদপুরের স্থায়ী লোক দিয়ে। আজ আমাদের ভাইদের সাথে ঝগড়া লাগিয়ে রাখেছেন এমরান হোসেন মিয়া। আমরা কেউ ভেসে আসিনি। এই শহরে আমাদের পায়ের নিচে মাটি আছে। সকলের সমন্বয়ে আমরা চাঁদপুর জাতীয় পার্টিকে সাজিয়ে রাহুমুক্ত করবো।
জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাহাজাহান মাতাব্বরের সভাপতিত্ব এবং পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য অ্যাড. মোহাম্মদ মহসীন খান, জেলা কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম দর্জি, জেলা যুব সংহতির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন গাজী, শহর যুব সংহতির আহ্বায়ক দ্বীন ইসলাম, সদস্য সচিব মো. ফারুক গাজী, যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহাগ বেপারী, সদর উপজেলা যুব সংগতির সদস্য সচিব হারুন গাজী, ১নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার বিএম ওমর ফারুক, নেতা আবুল কালাম খন্দকার, ২নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি সেন্তু বেপারী, সাধারণ সম্পাদক সিরু ছৈয়াল, সহ-সভাপতি আলী মুন্সি, সাগর মিয়া, ৩নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন গাজী, সাবেক সভাপতি জলিল বেপারী, ৪নং ওয়ার্ডে নেতা ওয়াদুদ আখন, শাহালম মিয়া, ৬নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন মিজি, ৭নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি নূরুজ্জামান কালুসহ জাতীয় পার্টি, যুব সংহতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
বক্তারা বলেন, কিছু লোক জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গন ধরিয়েছেন। মফিজ বেপারী দীর্ঘ দিন জাতীয় পার্টির রাজনীতি কর্মকান্ডের সাথে নেই, তিনি কিভাবে পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হন। তাকে আমরা কেউ মানি না, মানবো না। এমরান হোসেন মিয়াকে ৩ মাসের জন্য আহ্বায়ক করা হয়েছে। সেই ৩ মাসের আহ্বায়ক কমিটি ৪ বছর হয়ে গেছে। এমরান হোসেন মিয়ার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাহল অবৈধ কমিটি কিভাবে পৌর কমিটি দেন। এখন থেকে এমরান হোসেন মিয়া সেখানে আসবে সেখানেই তাকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। ইব্রাহীম দেওয়ান স্বপন কিছু দিন আগে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছিলে। সেখানে কোন সুবিধা করতে না পরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় জাতীয় পার্টিতে এসেছেন। সেই দল পাল্টানো স্বপন দেওয়ান নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গন সৃষ্ট করেছে। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব থাকাকালীন সময় একটি ওয়ার্ড কমিটিও গঠন করতে পারেননি। সেই কর্মীবিহীন নেতার দলে থাকার কোন অধিকার নেই।
তারা আরো বলেন, আমরা রাজনৈতিক কর্মী, কর্মচারী নই। এমরান হোসেন মিয়া চান সবাই তাকে কর্মচারীর মতো তাকে তেল মারুক। তিনি মনেকরেন চাঁদপুরের জাতীয় পার্টি তার ব্যক্তিগত ফ্যাক্টরি। সেই ফ্যাক্টরিতে কিছু দিন পর পর লোক নিয়োগের মতো বিভিন্ন কমিটি অনুমোদন দিচ্ছেন। আমরা এরকম রাজনীতি চাই না। গত কয়েকমাস আগে বিপনীবাগস্থ পার্টি হাউজে এক সভায় এক যুগ্ম-আহ্বায়ক এমরান হোসন মিয়াকে অবাঞ্ছিত করে দলকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছিলেন। এখন সেই যুগ্ম-আহ্বায়ক কোন লোভে এমরান হোসেন মিয়াকে তেল মারছেন।
Recent Posts