পদ্মা-মেঘনায় মিলেমিশে চলছে জাটকা নিধন
চাঁদপুর প্রতিনিধি ইলিশের পোনা জাটকা শিকার নিষিদ্ধ হলেও চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় মিলেমিশে চলছে জাটকা নিধন। নামকাওয়াস্তে অভিযানের কারনে সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের কতিপয় কর্তা ব্যক্তির যোগসাজেশেই অভায়াশ্রমের সফলতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে জনমনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় অবাধে জাটকা নিধন করে নৌ ও সড়ক পথে সহজেই পাচার হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব থেকে পিকআপ ভ্যান, স্পীডবোর্ড ও লঞ্চে করে ঢাকা, লক্ষèীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাক্ষèণবাড়িয়া, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় এসব জাটকা পাচার হয়। এভাবে জাটকা নিধন অব্যহত থাকায় দেশের ইলিশ সম্পদ হুমকির মুখে রয়েছে বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের। অথচ জাটকা নিধন রোধ করতে পারলে আগামী মৌসুমে দেশের ইলিশ উৎপাদন বেড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য গবেষনা ইনস্টিউটের গবেষক ড. আনিছুর রহমান। নদী পাড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদীতীরবর্তী এলাকায় অস্থায়ী আড়ত গড়ে উঠেছে। এসব আড়তগুলো সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ইলিশ ও জাটকা বেচাকেনায় জমজমাট থাকে। কতিপয় দাদনদার ও আড়তদারের একটি চক্র এসব অসাধু জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করে। তারা নির্ধারিত অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নদীতীরবর্তী পুলিশ ফাঁড়িকে ম্যানেজ করে কারেন্ট জাল সরবরাহ করে জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষèীপুর মডেল ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা ছলেমান মাঝি, হানারচর ইউনিয়নের আ’লীগ সভাপতি হাবু ছৈয়াল, আখনের হাটের স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগ সেক্রেটারী মকবুল হোসেন, আনন্দ বাজার এলাকায় জেলে নেতা মালেক দেওয়ান পুরান বাজার হরিসভা মাস্টার ঘাট এলাকায় স্থানীয় আ’লীগ নেতা খায়ের মিজি, তাহের শেখ, বিএনপি নেতা কাশেম ছৈয়ালের নেতৃত্বে চলছে আড়ত ও জাটকা ইলিশ পাচারের কাজ। এছাড়াও শহরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন টিলাবাড়ি, ইব্রাহিমপুর, লগ্নীমারাচর, দোকানঘরসহ মতলবের বিভিন্ন এলাকাতে নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড সদস্যদের ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব। এদিকে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের ছত্রছায়ায় জাটকা নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করে হাইমচর উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি মো. হুমায়ন প্রধানীয়া বলেন, দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় আমরাও সরকারকে সর্বাতœক সহযোগীতা করে যাচ্ছি। চরভৈরবী নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান সর্বদা চলমান। তবে এখনো কাউকে আমরা আটক করতে পারিনি। এমনকি
ইলিশ পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেনা বলে জানান। চাঁদপুর কোষ্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. এম হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান ২৪ ঘন্টাই চলছে। ইতোমধ্যে আমরা কয়েক লাখ মিটার কারেন্ট জাল, জাটকা ইলিশ ও একাধিক জেলেকে আটক করে আইনের হাতে সোর্পদ্য করেছি। তবে সকলের মানসিক পরিবর্তন না ঘটলে এটা রোধ করা দূরুহ। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
Doesn’t but isn’t after realize spray does online cialis the to been on night pumps saying any a.