নদীভাঙনে ‘করলা দ্বীপ’ হাইমচরের ঈশানবালা
চাঁদপুর সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ‘করলা দ্বীপ’ হিসেবে পরিচিত ঈশানবালায় প্রমত্তা মেঘনার ভাঙনে বিভিন্ন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে পড়ছে করলা দ্বীপের আয়তন। নদীভাঙনের হাত থেকে অবহেলিত এ জনপদটিকে রক্ষায় কখনো কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ঈশানবালা ইউনিয়নের অনেকটুকুই এখন মেঘনা নদীর গর্ভে চলে গেছে। অথচ পুরো ঈশানবালায়’ই করলাসহ শীতকালীন সবজি প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়ে থাকে।
যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে ঈশানবালায় নদীভাঙন প্রতিরোধে কাজ
করা হবে। ইতোমধ্যে গত (১৪ আগস্ট) শুক্রবার ঐ এলাকা রক্ষায় কার্যকরী প্রকল্প গ্রহণে স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটি। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী পাউবো কর্মকর্তাদের কাছে ভাঙন কবলিত এলাকার চিত্র তুলে ধরেন। এমনকি জরুরিভিত্তিতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তারা দাবি জানান।
জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটির প্রধান ডিজাইন সার্কেল-৪-এর তত্ত্ব¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কাওসার, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এনামুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাস, চাঁদপুর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিক উল্ল্যাহ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবু সাঈদ মো. মাহবুবুল করিম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী জানান, উন্নয়নের ছোয়া বঞ্চিত ঈশানবালার হাজার হাজার মানুষ মেঘনার ভাঙ্গনে সর্বদাই আতঙ্কে দিন কাটায়। অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে যাযাবরের মত জীবন যাপন করছে। তাই ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, আশা করছি সহসাই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিক উল্লাহ বলেন, ঈশানবালায় ব্যাপক নদী ভাঙন চলছে। প্রতিরোধে একটি প্রকল্পও তৈরি করা হয়েছে। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কারিগরি কমিটি ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। আশা রাখি আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে সরকারের বরাদ্দসাপেক্ষে ঈশানবালা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যাবে।