গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সোলায়মান মিয়া ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বচিত হন। ঢাকার উত্তরার ৭নং সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় সোলায়মান তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কয়েক বছর ধরে বসবাস করেন।
বিয়ের ৫ বছর পর থেকে বিভিন্ন সময় টুম্পাকে নির্যাতন করত সোলায়মান। সোলায়মান মিয়ার মাদকের নেশা ও নারী সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে প্রায়শ ঝগড়াঝাটি হত।
রবিবার বিকেলে ছেলে নাফিকে (৮) উত্তরায় শশুরের বাসায় রেখে সোলায়মান তার স্ত্রী টুম্পা, টুম্পার ভাই সাঈদ ও টুম্পার ভাবীকে নিয়ে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় বেড়াতে যান।
সেখান থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়ার সময় গাড়িতে সোলায়মান মিয়ার মোবাইলে অন্য একটি মেয়ের ছবি দেখতে পেয়ে স্বামীর সঙ্গে টুম্পার ঝগড়া ও কথাকাটাকাটি হয়।
বেড়ানো শেষে রাতে সোলায়মান ও টুম্পা তাদের বাসায় ফিরে আসে। পরদিন সোমবার সকালে কাজের বুয়া বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে টুম্পার মাকে মোবাইল করে।
খবর পেয়ে তারা ওই বাসায় এসে জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে খাটের উপর টুম্পার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সন্ধ্যায় উত্তরা থানার পুলিশ টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন।
ধারনা করা হচ্ছে পরে রাতে কোন এক সময় টুম্পাকে নির্যাতন করে হত্যার পর সোলায়মান বাসার বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহেদ পারভেজ জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে দাগ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউন্সিলর সোলায়মান পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাটি হত্যা কি না তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে।