এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ ভুক্তভোগীরা মামলা করলেও তা নেওয়া হবে।’
সিলেট-২ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার বাসা থেকে শনিবার রাতে ফেরার পথে ছাত্রসমাজের তিন নেতাকর্মীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, ‘রাতে নগরীর এভারগ্রিন ২০ নম্বর বাসায় বিশ্বনাথ এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এদের মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মজনপুরপুর গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে দেওকলস ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের সভাপতি আফরোজ আলী, বাগিছাবাজার উত্তর কালীজুড়ি গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে উপজেলা ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকিম আলী ও জানাইয়া গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে উপজেলা ছাত্রসমাজের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দিলওয়ার আহমেদ মোটরসাইকেলযোগে ফেরার পথে সোবহানীঘাটে পুলিশ তাদের আটক করে। সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির টহলরত এএসআই মোস্তাফিজ, কনস্টেবল রাজন ও পাভেল তিনজনকে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে জেরা করতে থাকেন। এ সময় কনস্টেবল রাজন ও তার সঙ্গে থাকা সাদা পোশাকধারী এক ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন। সাদা পোশাকধারী ওই ব্যক্তিসহ পুলিশ ছাত্রসমাজ নেতাকর্মীদের জঙ্গি বানিয়ে আদালতে পাঠানোর হুমকি দিয়ে তিনজনের কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সময় ছাত্রসমাজ নেতাকর্মীরা নিজেদের জঙ্গি নয়, এমপি এহিয়ার কর্মী পরিচয় দিলে তাদের ছবি মোবাইলে ধারণ করে তাড়িয়ে দেয়। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে তারা আবার আমার বাসায় এসে ওই ঘটনা জানায়।’
সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া আরো বলেন, ‘ছাত্রসমাজ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনা জেনে আমি ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ডেকে পাঠাই। এ ব্যাপারে তাদের কাছে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সদুত্তর দিতে পারেনি। বিষয়টি এসএমপির ডিসি উত্তর ফয়ছল মাহমুদকে জানালে রাতেই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের শরীর থেকে পুলিশের পোশাক খুলে ফেলা হয়।’
এর আগে সংসদ সদস্যের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ডিবি পরিচয়দানকারী ব্যক্তির নাম শামীম। সে নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। কনস্টেবল রাজন শামীমকে ফোন করে লুণ্ঠিত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে সে ৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেয়।