এবার দর্শক মনোযোগের শীর্ষে থাকা নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে রেদওয়ার রনি পরিচালিত ও মিশু সাব্বির পরিচালিত ‘বুলেট প্রুফ ম্যারেজ’, মাহমুদ দিদার পরিচালিত তিশা অভিনীত ‘গহীন সুন্দরী’, শিহাব শাহীন পরিচালিত তাহসান-মিথিলা অভিনীত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত সিয়াম আহমেদ-আফসানা মিমি অভিনীত ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে, আশফাক নিপুণ পরিচালিত মাহফুজ-তিশা অভিনীত ‘কমলা রাঙা রোদ’, ইমরাউল রাফাত পরিচালিত জাহিদ হাসান-পূর্ণিমা অভিনীত ‘হলুদ রঙের বায়না’, মাহমুদ দিদার পরিচালিত নিশো-তানজিকা-প্রভা অভিনীত ‘ভালোবাসার গল্প সমগ্র’।
দর্শক নন্দিত তালিকায় আরো উঠে এসেছে ‘কেন এই নিঃসঙ্গতা’, ‘লালরঙা স্বপ্ন’, ‘হেট ইউ’, ‘ইটস মাই লাভ স্টোরি’, ‘বুলেটপ্রুফ ম্যারেজ’, ‘লেটার বক্স’, ‘চল সবে ডায়েট করি, ‘মিরর গেম’, ‘এক মুঠো ভালোবাসা’, ‘ভূতের ভ্যালেন্টাইন’, ‘সাবলেট গুবলেট’, ওয়াও সিক্যুয়ালের ‘ওয়াও সুপারহিট’, ‘মানি ইজ প্রবলেম’সহ বেশ কিছু নাটক।
ঈদ নাটক নিয়ে নির্মাতা এসএ হক অলিক বলেন, ‘ঈদের নাটক দেখার প্রতি দর্শকদের একটু বেশিই আগ্রহ থাকে। নির্মাতারাও চেষ্টা করেন মনোযোগ দিয়ে ভালভাবে বানানোর। চ্যানেলগুলোও ঈদের নাটকের জন্য বেশি বাজেট দিয়ে থাকে। আর ভাল-মন্দ ব্যাপারে যদি বলি তাহলে সব নাটকই ভাল হবে তা নয়। ভালর পাশাপাশি অল্পমানের নাটক আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় দিনে-দিনে ভালর সংখ্যায় বাড়ছে। ঈদের ভাল নাটকগুলো ঈদের পরে দর্শকরা ইউটিউবেও দেখে।’
নির্মাতা মাহমুদ দিদার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভাল নাটক নির্মাণ করলে দর্শক দেখবেই। অনেক নাটকের ভিড়ে মানুষ দেখার মত নাটকটিই বেছে নেবেন।’
দর্শক নাটক দেখেন না— এটা মানতে রাজি নন অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। তিনি বলেন, ‘দর্শক নাটক দেখেন বলেই এত নাটক নির্মাণ হয়। ভালর পাশাপাশি মন্দ তো থাকবেই।’
এদিকে বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনা নিয়ে মাছরাঙার টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক এএম আরিফুর রহমান বলেন, ‘নাটক থেকে আয় করার সুযোগ কম। আমরা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করি। তাই নাটকের মাঝে তো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। তবে আশার কথা হল এখন আমরা স্বল্প বিরতিতে নাটক প্রচার করতে পারছি। এভাবেই হয়ত ধীরে ধীরে বিজ্ঞাপনের মাত্রা কমে যাবে।’
অভিযোগের তীর বিঁধেছে জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের গায়েও। মোস্তফা ফারুক নামের একজন দর্শক ফেসবুকে লিখেছেন ‘মোশাররফ করিম আর শাকিব খান একই। পরিচালকরা এদের নাম ভাঙ্গায়ে টাকা কামায় আর এরা টাকা কামানোর জন্য যে স্ক্রিপ্ট পায় সেইটাতেই অভিনয় করে। ইদানিং তো মোশাররফের টক শো, নাটক সবখানেই একই এক্সপ্রেশন। কোনো ভিন্নতা নাই অভিনয়ে। নিশোর আইডিতেও দেখি হুমায়ুন ফরীদির ছবি দেয় প্রায়ই। নিশোর হুমায়ুন ফরীদিকে কপি করার প্রবনতা অনেক বেশি। সে রোমান্টিক, কমেডি, সিরিয়াস সব নাটকেই চিল্লায়ে চিল্লায়ে আর ভাষণের মত করে ডায়লগ দেয়। দিন দিন বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছে।’
দুর্জয় লিখেছেন, ‘শখ, সাবিলা, সাফা, ঈশিকা— এরা অভিনয় করবে কী! শুরুতে শুরু করে দেয় ন্যাকামি আর এটা করতে করতেই অভিনয়ের বারোটা বেজে যায়। এরা টিকে আছে খালি টিভিপর্দায় দেখতে ভাল দেখা যায় বলে।’
অন্য দিকে মাহমুদ এইচ রাজু লিখেছেন, ‘নিশো আর মোশাররফ দুজনেই টপ ক্লাস অভিনেতা। কিন্তু আমাদের … ডিরেক্টর আর স্ক্রিপ্টের কল্যাণে এইরকম মনে হয়। যারা ভাল কাজ করে তারা ঠিকই আদায় করে নিতে পারে। যদিও তার ফরীদিকে নকল করাটা কিছুটা দৃষ্টিকটু কিন্ত কিছুটা কপি করা আমি দোষের কিছু দেখি না।’
তবে প্রিয় তারকাদের পক্ষ নেওয়া দর্শকও কম নন। এসএম হৃদয় লিখেছেন, ‘মোশাররফ করিম আছে বলেই এখনো ঈদের নাটক দেখা হয়। কেননা নাটক থেকে আমাদের বিনোদন দরকার, শিক্ষা না। আর মোশাররফ করিম যে সব অভিনয় করতে পারেনন তা তিনি অনেক আগেই প্রমাণ করে গেছেন, নতুন করে যারা তার অভিনয়ের খুঁত ধরতে চায় তাদের আমি বলব লেখালেখি আর সমলোচনা বাদ দিয়া নিজেরাই অভিনয়ে নাইমা যান।’
—