এদিকে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কাজী সাহান হকজানিয়েছেন, ‘হুমকিদাতার পরিচয় এখন পাওয়া যায়নি।’ হুমকি দেয়া মোবাইল সিম কি নিবন্ধিত? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অনিবন্ধিত সিম দেশে নেই। অবশ্যই হুমকিদাতার মোবাইল সিম নিবন্ধিত।’
ওসি তদন্তের কাছে সেই নিবন্ধিত সিমটির গ্রাহকের পরিচয় জানানোর কথা বলতেই তিনি বলেন, নাম পাওয়া যায়নি। তবে হুমকিদাতার পরিচয় খোঁজার চেষ্টা চলছে।
এদিকে দেশের বিশিষ্ট এই নাগরিককে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের সামনে অপরাধীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়ে নাগরিক সমাবেশ করেছেন লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-ছাত্র ও সাংস্কৃতিককর্মীরা।
ওই সমাবেশ থেকে জানানো হয়েছে, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে সুন্দরবন ধ্বংস করা যাবে না।
সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তার নামে মোবাইল সিম নিবন্ধন করানো হয়েছে। এরপরও কেন ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পরেও হুমকিদাতার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সমাবেশ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, নিরাপত্তার নামে সিম নিবন্ধন কেন করানো হয়েছে?
বুধবার রাত ১টার দিকে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ‘আনসারুল্লাহ’ নামে একটি সংগঠনের বরাত দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে তিনি স্ট্যাটাস দেন।