চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের আমদানি বাড়ছে
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর মাছ ঘাটে ইলিশের আমদানী বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন সাত-আটশ মন ইলিশ এ ঘাটে আসছে। অবশ্য এসব ইলিশের অধিকাংশই চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীর নয়। চড়া দাম পেতে সাগর থেকে মাছগুলো চাঁদপুর ঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসছে জেলেরা। স্থানীয় নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ায় হতাশ জেলেরা। চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় মাছ কম পাওয়া গেলেও সাগরের ইলিশ পেয়েই আড়ৎদাররা খুশি। অবশ্য মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন যেহেতু সাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে শীঘ্রই চাঁদপুরেও বেশি পরিমানে ইলিশ ধরা পড়বে
ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ছে না। অবশ্য চাঁদপুর মাছ ঘাটে বেড়েছে ইলিশের আমদানী। গত একসপ্তাহ আগে চাঁদপুর মাছ ঘাটে মাত্র ৩০-৪০মন ইলিশ আমদানী হলেও গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় একহাজার মন ইলিশ আমদানী হচ্ছে। ইলিশের দামও কেজি প্রতি কমেছে অন্তত ৩-৫শ টাকা। অর্থাৎ এক কেজে ওজনের ইলিশ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪শ টাকায়। যা গত কয়েকদিন আগে ছিলে ২হাজার থেকে ২২শ টাকা। ৭-৮শ গ্রামের ইলিশ বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৮-৯শ টাকায়। যা গত এক সপ্তাহ আগে ছিলো ১২শ থেকে ১৩টাকায়। এছাড়া ৫-৬শ গ্রামের ওজনের ইলিশ বর্তমানে বাজার বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪-৫টাকায়। যা গত একসপ্তাহ আগে ছিলো ৭-৮শ টাকা। ইলিশের এমন আমদানী দেখে সরেজমিনে ঘুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর, হরিণা হাইমচরের তেলির মোড় ও কাটাখালি এলাকাঘুরে দেখা যায় ওসব আড়ৎ গুলোতে মাছের আমদানি অনেক কম। বরং অনেক জেলের আক্ষেপ করে বলেন, নদীতে মাছ অনেক কম। আমাদের নৌকা অনেক ছোট। তাই সাগরে গিয়ে মাছ ধরতে পারছি না। শুনেছি সাগরে ঝাকে ঝাকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে তারা কিছুদিন পর ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাবেন বলে মনে স্বপ্ন দেখছেন।
এছাড়া ভোলার চরফেশন, পটুয়াখালির, কুয়াকাটা এলাকার জেলে রশিদ মিয়া, রব মিজি, সফিক সর্দার জানান, বেশি দাম পেতে সাগরে মাছ ধরে চাঁদপুর ঘাটে বিক্রি করতে নিয়্ েআসি। আমরা প্রতিবছরই এ ঘাটে মাছ নিয়ে আসি। কারণ এখানে ইলিশের দাম অনেক ভালো পাওয়া যায়।
চাঁদপুর মাছ ঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মালেক খন্দকার জানান, এবছর মাঝামাঝি সময়ে ইলিশের আমদানি ছিলোনা বললেই চলে। এখন কিছু ইলিশ ধরা পড়ায় ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারদের কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। শীঘ্রই ইলিশ আমদানী আরো বাড়বে বলেও আশা ব্যক্ত করেন এ ব্যবসায়ী।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান জানান, যেহেতু সাগরে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্যে খুশির খবর। আর চাঁদপুরে যেহেতু অল্প হলেও ধরা পড়ছে, কয়েক দিনের মধ্যে স্থানীয় নদীগেুলোতে বেশি পরিমানে ইলিশ ধরা পড়বে আশা ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা।
এবছর জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি প্রায় শতভাগ সফল হয়েছে। তাই চলতি বছর নতুন করে ৪১ হাজার কোটি জাটকা ইলিশ জনতায় যুক্ত হয়েছে। গত বছর যা গতবছর ছিলো ২৯ হাজার কোটি। এবছর ১৬হাজার মে.টন ইলিশ উৎপাদন বেড়ে চারলাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মৎস্য গবেষণা ইনিষ্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুর।